44. তাতে যদি সে আমাকে বলে যে, সে আমাকে পানি খাওয়াবে আর আমার উটগুলোর জন্যও পানি তুলে দেবে, তবে সে-ই যেন আমার মালিকের ছেলের জন্য তোমার বেছে রাখা মেয়ে হয়।’
45. “আমার মুনাজাত শেষ হওয়ার আগেই রেবেকা কলসী কাঁধে কূয়ায় এসে পানি তুলতে লাগলেন। আমি তাঁকে বললাম, ‘দয়া করে আমাকে একটু পানি খেতে দিন।’
46. “তিনি তাড়াতাড়ি করে কাঁধ থেকে কলসীটা নামিয়ে বললেন, ‘এই নিন, পানি খান। আমি আপনার উটগুলোকেও পানি খাওয়াব।’ তখন আমি পানি খেলাম আর তিনি আমার উটগুলোকেও পানি খাওয়ালেন।
47. “তারপর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনি কার মেয়ে?’“তিনি বললেন, ‘আমি নাহুর ও মিল্কার ছেলে বথূয়েলের মেয়ে।’“এই কথা শুনে আমি তাঁর নাকে নথ ও দুই হাতে বালা পরিয়ে দিলাম।
48. তারপর আমি মাবুদকে সেজদা করলাম। মাবুদ, যিনি আমার মালিক ইব্রাহিমের আল্লাহ্, আমি তাঁর শুকরিয়া আদায় করলাম, কারণ তিনিই আমাকে ঠিক পথে চালিয়ে এনেছেন যাতে আমি আমার মালিকের ভাইয়ের ছেলের মেয়েকে তাঁর ছেলের জন্য নিয়ে যেতে পারি।
49. এখন আপনারা আমার মালিকের প্রতি বিশ্বস্তভাবে কর্তব্য করবেন কি না তা আমাকে বলুন। যদি তা না করেন তবে আমাকে তা-ও জানিয়ে দিন যাতে আমি অন্য কোথাও যেতে পারি।”
50. তখন লাবন ও বথূয়েল বললেন, “ব্যাপারটা তবে মাবুদ থেকেই হয়েছে। কাজেই এতে আপনাকে আমাদের হ্যাঁ বা না বলবার কিছুই নেই।
51. রেবেকা তো এখানেই রয়েছে; ওকে আপনি নিয়ে যান। মাবুদের কথামতই আপনার মালিকের ছেলের সংগে তার বিয়ে হোক।”
52. ইব্রাহিমের গোলাম এই কথা শুনে মাবুদকে সেজদা করল।
53. তারপর সে সোনা ও রূপার গহনা এবং কাপড়-চোপড় বের করে রেবেকাকে দিল, আর রেবেকার ভাই এবং মাকেও অনেক দামী দামী জিনিস দিল।
54. পরে সে ও তার সংগের লোকেরা খাওয়া-দাওয়া করে রাতটা সেখানেই কাটাল। পরদিন তারা যখন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠল তখন সেই গোলাম বলল, “এবার আমাকে বিদায় দিন যাতে আমি আমার মালিকের কাছে ফিরে যেতে পারি।”