2. ইয়াফসের ছেলেরা হল গোমর, মাজুজ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস।
3. গোমরের ছেলেরা হল অস্কিনস, রীফৎ ও তোগর্ম।
4. যবনের ছেলেরা হল ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম ও দোদানীম।
5. এদের বংশের লোকেরাই শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষা, পরিবার ও জাতি অনুসারে সাগর পারের ভিন্ন ভিন্ন দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
6. হামের ছেলেরা হল কূশ, মিসর, পূট ও কেনান।
7. কূশের ছেলেরা হল সবা, হবীলা, সপ্তা, রয়মা ও সপ্তকা। রয়মার ছেলেরা হল সাবা ও দদান।
8. কূশের একটি ছেলে হয়েছিল যাঁর নাম ছিল নমরূদ। এই নমরূদ দুনিয়াতে একজন ক্ষমতাশালী পুরুষ হয়ে উঠেছিলেন।
9. মাবুদের চোখে তিনি ছিলেন একজন বেপরোয়া শিকারী। সেইজন্য কথায় বলে, “লোকটা যেন মাবুদের চোখে একজন বেপরোয়া শিকারী নমরূদ।”
11-12. তিনি সেখান থেকে বের হয়ে তাঁর রাজ্য বাড়াতে বাড়াতে আশেরিয়া দেশ পর্যন্ত গেলেন। সেখানকার নিনেভে, রহোবোৎ-পুরী, কেলহ ও রেষণ নামে শহরগুলো তাঁরই তৈরী। এর মধ্যে রেষণ ছিল নিনেভে ও কেলহের মাঝামাঝি জায়গায়। এগুলো একসংগে মিলে একটা বড় শহরের সৃষ্টি হয়েছিল।
13-14. লিডীয়, অনামীয়, লহাবীয়, নপ্তুহীয়, পথ্রোষীয়, কস্লূহীয় ও ক্রীটীয়রা ছিল মিসরের বংশের লোক। কস্লূহীয়রা ছিল ফিলিস্তিনীদের পূর্বপুরুষ।
15. কেনানের বড় ছেলের নাম ছিল সিডন। তার পরে হেতের জন্ম হয়েছিল।
16. যিবূষীয়, আমোরীয়, গির্গাশীয়,
17. হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়,
18. অর্বদীয়, সমারীয় এবং হমাতীয়রাও ছিল কেনানের বংশের লোক। পরে এই সব কেনানীয় পরিবারগুলো ছড়িয়ে পড়েছিল।
19. সিডন শহর থেকে গরারে যাওয়ার পথে গাজা পর্যন্ত এবং গাজা থেকে সাদুম, আমুরা, অদ্মা ও সবোয়ীমে যাওয়ার পথে লাশা পর্যন্ত কেনানীয়দের দেশের সীমা ছিল।
20. পরিবার, ভাষা, দেশ ও জাতি হিসাবে এরাই ছিল হামের বংশের লোক।
21. ইয়াফসের বড় ভাই সামেরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল। সাম ছিলেন আবের ও তাঁর সন্তানদের পূর্বপুরুষ।
22. সামের ছেলেরা হল ইলাম, আশুর, আরফাখশাদ, লূদ ও ইরাম।
23. ইরামের ছেলেরা হল আওস, হূল, গেথর ও মশ।
24. আরফাখশাদের ছেলের নাম শালেখ এবং শালেখের ছেলের নাম আবের।