13. সেই শিমোনও ঈমান এনে তরিকাবন্দী নিল, আর সে ফিলিপের পিছনে পিছনে সব জায়গায় গেল এবং চিহ্ন-কাজ ও বড় বড় অলৌকিক কাজ দেখে অবাক হল।
14. জেরুজালেমের সাহাবীরা যখন শুনলেন যে, সামেরিয়ার লোকেরা আল্লাহ্র কালামের উপর ঈমান এনেছে তখন তাঁরা পিতর ও ইউহোন্নাকে সেই লোকদের কাছে পাঠালেন।
15. পিতর ও ইউহোন্না এসে তাদের জন্য মুনাজাত করলেন যেন তারা পাক-রূহ্ পায়,
16. কারণ তখনও তাদের উপর পাক-রূহ্ আসেন নি; কেবল হযরত ঈসার নামে তাদের তরিকাবন্দী হয়েছিল।
17. তখন পিতর ও ইউহোন্না তাদের উপর হাত রাখলেন, আর তারা পাক-রূহ্ পেল।
18. যখন শিমোন দেখল যে, সাহাবীদের হাত রাখবার মধ্য দিয়ে পাক-রূহ্কে দেওয়া হল তখন সে তাঁদের কাছে টাকা এনে বলল,
19. “আমাকেও এই শক্তি দিন যেন আমি কারও উপরে হাত রাখলে সে পাক-রূহ্ পায়।”
20. তখন পিতর তাকে বললেন, “তোমার টাকা তোমার সংগেই ধ্বংস হোক, কারণ তুমি মনে করেছ আল্লাহ্র দান টাকা দিয়ে কেনা যায়।
21. আমাদের এই কাজে তোমার কোন ভাগ বা অধিকার নেই, কারণ আল্লাহ্র চোখে তোমার দিল ঠিক নয়।
22. এই খারাপী থেকে তুমি তওবা কর ও মাবুদের কাছে মুনাজাত কর; তাহলে তোমার মনের এই খারাপ চিন্তা হয়তো তিনি মাফও করতে পারেন।
23. আমি দেখতে পাচ্ছি, তোমার মন লোভে ভরা এবং তুমি গুনাহের কাছে বন্দী হয়ে আছ।”
24. তখন শিমোন বলল, “আপনারাই মাবুদের কাছে আমার জন্য দোয়া করুন যেন আপনারা যা বললেন তা আমার উপর না ঘটে।”
25. এর পরে পিতর ও ইউহোন্না প্রভুর বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে ও তাঁর কালাম তবলিগ করে জেরুজালেমে ফিরে গেলেন। যাবার পথে তাঁরা সামেরীয়দের অনেক গ্রামে সুসংবাদ তবলিগ করলেন।
26. একদিন মাবুদের একজন ফেরেশতা ফিলিপকে বললেন, “ওঠো, দক্ষিণ দিকের যে পথ জেরুজালেম থেকে গাজা শহরের দিকে গেছে সেই পথে যাও।” পথটা ছিল মরুভূমির মধ্যে।
27. তখন ফিলিপ সেই দিকে গেলেন। পথে ইথিওপিয়া দেশের একজন বিশেষ রাজকর্মচারীর সংগে তাঁর দেখা হল। সেই কর্মচারী ছিলেন খোজা। ইথিওপিয়ার কান্দাকী রাণীর ধনরত্নের দেখাশোনা করবার ভার ছিল এই লোকটির উপর। আল্লাহ্র এবাদত করবার জন্য সেই কর্মচারী জেরুজালেমে গিয়েছিলেন।
28. বাড়ী ফিরবার পথে তিনি রথে বসে নবী ইশাইয়ার কিতাবখানা তেলাওয়াত করছিলেন।