17. তিন দিন পরে পৌল সেখানকার ইহুদী নেতাদের ডেকে একসংগে মিলিত করলেন। তাঁরা মিলিত হলে পর পৌল তাঁদের বললেন, “আমার ভাইয়েরা, যদিও আমি আমাদের জাতির বিরুদ্ধে বা পূর্বপুরুষদের চলতি নিয়মের বিরুদ্ধে কিছুই করি নি, তবুও জেরুজালেমে আমাকে ধরা হয়েছে এবং রোমীয়দের হাতে দেওয়া হয়েছে।
18. রোমীয়রা আমাকে জেরা করে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল, কারণ মৃত্যুর উপযুক্ত কোন দোষ আমি করি নি।
19. কিন্তু ইহুদীরা এতে বাধা দেওয়াতে বাধ্য হয়ে আমি সম্রাটের কাছে আপীল করেছি। অবশ্য আমি আমার নিজের লোকদের কোন দোষ দিতে আসি নি।
20. এইজন্যই আমি আপনাদের সংগে দেখা করতে ও কথা বলতে চেয়েছি। ইসরাইল জাতির যে আশা আছে সেই আশার জন্যই আমাকে এই শিকল দিয়ে বাঁধা হয়েছে।”
21. তখন ইহুদী নেতারা বললেন, “আপনার সম্বন্ধে এহুদিয়া থেকে আমরা কোন চিঠি পাই নি। যে ভাইয়েরা সেখান থেকে এসেছেন তাঁরাও কেউ আপনার সম্বন্ধে কিছুই জানান নি বা কোন খারাপ কথা বলেন নি।
22. তবে আমরা আপনার মতামত শুনতে চাই, কারণ আমরা জানি সব জায়গাতেই লোকেরা সেই দলের বিরুদ্ধে কথা বলে।”
23. পৌলের সংগে মিলিত হবার জন্য তাঁরা একটা দিন ঠিক করলেন। পৌল যেখানে থাকতেন সেখানে তাঁরা ছাড়া আরও অনেকে আসলেন। তখন পৌল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহ্র রাজ্যের বিষয়ে তাঁদের জানালেন ও বুঝালেন। মূসার তৌরাত ও নবীদের কিতাবের মধ্য থেকে ঈসার বিষয় দেখিয়ে তাঁর সম্বন্ধে তাঁদের ঈমান জন্মাতে চেষ্টা করলেন।
24. তিনি যা বলেছিলেন তাতে কেউ কেউ ঈমান আনলেন, আবার কেউ কেউ ঈমান আনলেন না।
25. পৌলের কথায় তাঁদের মধ্যে মতের অমিল হল আর তাঁরা সেখান থেকে চলে গেলেন। তাঁরা চলে যাবার আগে পৌল বললেন, “পাক-রূহ্ নবী ইশাইয়ার মধ্য দিয়ে আপনাদের পূর্বপুরুষদের কাছে সত্যি কথাই বলেছিলেন যে,
26. এই লোকদের কাছে গিয়ে বল, ‘তোমরা শুনতে থাকবে কিন্তু কোনমতেই বুঝবে না; দেখতে থাকবে কিন্তু কোনমতেই জানবে না।
27. এই সব লোকদের দিল অসাড় এবং কান বন্ধ হয়ে গেছে, আর তারা তাদের চোখও বন্ধ করে রেখেছে, যেন তারা চোখ দিয়ে না দেখে, কান দিয়ে না শোনে এবং দিল দিয়ে না বোঝে, আর ভাল হবার জন্য আমার কাছে ফিরে না আসে।’
28-29. “এইজন্য আপনারা জেনে রাখুন, আল্লাহ্ মানুষকে কিভাবে নাজাত করেন সেই কথা অ-ইহুদীদের কাছে জানানো হয়েছে, আর তারাই সেই কথা শুনবে।”
30. পুরো দু’বছর ধরে পৌল তাঁর নিজের ভাড়াটে বাড়ীতে ছিলেন এবং যারা তাঁর সংগে দেখা করতে আসত তিনি তাদের সবাইকে গ্রহণ করতেন।