9. “আমি নিজেই বিশ্বাস করতাম, নাসরতের ঈসার বিরুদ্ধে যা করা যায় তার সবই আমার করা উচিত,
10. আর ঠিক তা-ই আমি জেরুজালেমে করছিলাম। প্রধান ইমামদের কাছ থেকে ক্ষমতা পেয়ে আমি ঈসায়ী ঈমানদার অনেককে জেলে দিতাম এবং তাদের হত্যা করবার সময় তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিতাম।
11. তাদের শাস্তি দেবার জন্য আমি প্রায়ই এক মজলিস-খানায় থেকে অন্য মজলিস-খানায় যেতাম এবং ঈসার বিরুদ্ধে কথা বলবার জন্য আমি তাদের উপর জোর খাটাতাম। তাদের উপর আমার এত রাগ ছিল যে, তাদের উপর জুলুম করবার জন্য আমি বিদেশের শহরগুলোতে পর্যন্ত যেতাম।
12. “এইভাবে একবার প্রধান ইমামদের কাছ থেকে ক্ষমতা ও হুকুম নিয়ে আমি দামেস্কে যাচ্ছিলাম।
13. মহারাজ, তখন বেলা প্রায় দুপুর। পথের মধ্যে সুর্য থেকেও উজ্জ্বল একটা আলো আসমান থেকে আমার ও আমার সংগীদের চারদিকে জ্বলতে লাগল।
14. আমরা সবাই মাটিতে পড়ে গেলাম এবং আমি শুনলাম হিব্রু ভাষায় কে যেন আমাকে বলছেন, ‘শৌল, শৌল, কেন তুমি আমার উপর জুলুম করছ? কাঁটা বসানো লাঠির মুখে লাথি মেরে কি তুমি নিজের ক্ষতি করছ না?’
15. “তখন আমি বললাম, ‘প্রভু, আপনি কে?’
16. “প্রভু বললেন, ‘আমি ঈসা, যাঁর উপর তুমি জুলুম করছ। এখন ওঠো, তোমার পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াও। সেবাকারী ও সাক্ষী হিসাবে তোমাকে নিযুক্ত করবার জন্য আমি তোমাকে দেখা দিলাম। তুমি আমাকে যেভাবে দেখলে এবং আমি তোমাকে যা দেখাব তা তুমি অন্যদের কাছে বলবে।
19. “বাদশাহ্ আগ্রিপ্প, এইজন্য বেহেশত থেকে এই দর্শনের মধ্য দিয়ে আমাকে যা বলা হয়েছে তার অবাধ্য আমি হই নি।
20. যারা দামেস্কে আছে প্রথমে তাদের কাছে, তার পরে যারা জেরুজালেমে এবং সমস্ত এহুদিয়া প্রদেশে আছে তাদের কাছে এবং অ-ইহুদীদের কাছেও আমি তবলিগ করেছি যে, তওবা করে আল্লাহ্র দিকে তাদের ফেরা উচিত, আর এমন কাজ করা উচিত যার দ্বারা প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তারা তওবা করেছে।
21. এইজন্যই ইহুদীরা আমাকে বায়তুল-মোকাদ্দসে ধরে হত্যা করবার চেষ্টা করেছিল।
22. কিন্তু আল্লাহ্ আজ পর্যন্ত আমাকে সাহায্য করে আসছেন এবং সেইজন্যই আমি এখানে দাঁড়িয়ে ছোট-বড় সবার কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছি। নবীরা এবং মূসা যা ঘটবার কথা বলে গেছেন তার বাইরে আমি কিছুই বলছি না।
23. সেই কথা হল এই যে, মসীহ্কে কষ্টভোগ করতে হবে এবং তাঁকেই মৃত্যু থেকে প্রথমে জীবিত হয়ে উঠে তাঁর নিজের জাতির লোকদের ও অ-ইহুদীদের কাছে নূরের রাজ্যের বিষয়ে ঘোষণা করতে হবে।”
24. পৌল এইভাবে যখন নিজের পক্ষে কথা বলছিলেন তখন ফীষ্ট তাঁকে বাধা দিয়ে চিৎকার করে বললেন, “পৌল, তুমি পাগল হয়ে গেছ। তুমি অনেক পড়াশোনা করেছ আর সেই পড়াশুনাই তোমাকে পাগল করে তুলেছে।”
25. তখন পৌল বললেন, “মাননীয় ফীষ্ট, আমি পাগল নই। আমি যা বলছি তা সত্যি এবং যুক্তিপূর্ণ।
26. বাদশাহ্ তো এই সব বিষয় জানেন এবং আমি তাঁর সংগে খোলাখুলিই সব কথা বলতে পারি। আর এই কথা আমি নিশ্চয় জানি যে, এর কিছুই তাঁর চোখ এড়ায় নি, কারণ এই সব ঘটনা তো গোপনে ঘটে নি।