4. তাতে তাঁরা সবাই পাক-রূহে পূর্ণ হলেন এবং সেই রূহ্ যাঁকে যেমন কথা বলবার শক্তি দিলেন সেই অনুসারে তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে লাগলেন।
5. সেই সময় দুনিয়ার নানা দেশ থেকে আল্লাহ্ভক্ত ইহুদী লোকেরা এসে জেরুজালেমে বাস করছিল।
6. তারা সেই শব্দ শুনল এবং অনেকেই সেখানে জমায়েত হল। নিজের নিজের ভাষায় সাহাবীদের কথা বলতে শুনে সেই লোকেরা যেন বুদ্ধিহারা হয়ে গেল।
7. তারা খুব আশ্চর্য হয়ে বলল, “এই যে লোকেরা কথা বলছে, এরা কি সবাই গালীলের লোক নয়?
8. যদি তা-ই হয় তাহলে আমরা প্রত্যেকে কি করে নিজের নিজের মাতৃভাষা ওদের মুখে শুনছি?
9. পার্থীয়, মিডীয়, এলমীয় লোক এবং মেসোপটেমিয়ায় বাসকারী লোকেরা, এহুদিয়া ও কাপ্পাদকিয়া, পন্ত ও এশিয়া প্রদেশ,
10. ফরুগিয়া ও পাম্ফুলিয়া, মিসর ও কুরীণীর কাছাকাছি লিবিয়ার কয়েকটা জায়গার লোকেরা, রোম শহর থেকে যে ইহুদীরা ও ইহুদী ধর্মে ঈমানদার অ-ইহুদীরা এসেছে তারা,
11. ক্রীট দ্বীপের লোকেরা ও আরবীয়রা- আমরা সকলেই তো আমাদের নিজের নিজের ভাষায় আল্লাহ্র মহৎ কাজের কথা ওদের বলতে শুনছি।”
12. তাঁরা আশ্চর্য ও বুদ্ধিহারা হয়ে একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন, “এর মানে কি?”
13. আবার অন্যেরা সাহাবীদের ঠাট্টা করে বললেন, “ওরা মদ খেয়ে মাতাল হয়েছে।”
14. তখন পিতর সেই এগারোজন সাহাবীদের সংগে দাঁড়িয়ে জোরে সেই সব লোকদের বললেন, “ইহুদী লোকেরা আর যাঁরা আপনারা জেরুজালেমে বাস করছেন, আপনারা জেনে রাখুন এবং মন দিয়ে আমার কথা শুনুন।
15. আপনারা মনে করেছেন এরা মাতাল হয়েছে, কিন্তু তা নয়; কারণ এখন তো মাত্র সকাল ন’টা।
16. এটা সেই ঘটনার মত যার কথা নবী যোয়েল বলেছিলেন যে, আল্লাহ্ বলছেন,
17. ‘শেষকালে সব লোকের উপরে আমি আমার রূহ্ ঢেলে দেব; তাতে তোমাদের ছেলেরা ও মেয়েরা নবী হিসাবে আল্লাহ্র কালাম বলবে, তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে, তোমাদের বুড়ো লোকেরা স্বপ্ন দেখবে।
18. এমন কি, সেই সময়ে আমার গোলাম ও বাঁদীদের উপরে আমি আমার রূহ্ ঢেলে দেব, আর তারা নবী হিসাবে আল্লাহ্র কালাম বলবে।
19. আমি উপরে আসমানে আশ্চর্য আশ্চর্য ঘটনা দেখাব, আর নীচে দুনিয়াতে নানা রকম চিহ্ন দেখাব, অর্থাৎ রক্ত, আগুন ও প্রচুর ধোঁয়া দেখাব।
20. মাবুদের সেই মহৎ ও মহিমাপূর্ণ দিন আসবার আগে সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে ও চাঁদ রক্তের মত হবে।