19. আমি উপরে আসমানে আশ্চর্য আশ্চর্য ঘটনা দেখাব, আর নীচে দুনিয়াতে নানা রকম চিহ্ন দেখাব, অর্থাৎ রক্ত, আগুন ও প্রচুর ধোঁয়া দেখাব।
20. মাবুদের সেই মহৎ ও মহিমাপূর্ণ দিন আসবার আগে সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে ও চাঁদ রক্তের মত হবে।
21. রক্ষা পাবার জন্য যে কেউ মাবুদকে ডাকবে সে রক্ষা পাবে।’
22. “বনি-ইসরাইলরা, এই কথা শুনুন। নাসরতের ঈসার মধ্য দিয়ে আল্লাহ্ আপনাদের মধ্যে মহৎ কাজ, চিহ্ন ও কুদরতি কাজ করে আপনাদের কাছে প্রমাণ করেছিলেন যে, তিনি ঈসাকে পাঠিয়েছিলেন; আর এই কথা তো আপনারা জানেন।
23. আল্লাহ্, যিনি আগেই সব জানেন, তিনি আগেই ঠিক করেছিলেন যে, ঈসাকে আপনাদের হাতে দেওয়া হবে। আর আপনারাও দুষ্ট লোকদের দ্বারা তাঁকে ক্রুশের উপরে হত্যা করেছিলেন।
24. কিন্তু আল্লাহ্ মৃত্যুর যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করে তাঁকে জীবিত করে তুলেছেন, কারণ তাঁকে ধরে রাখবার সাধ্য মৃত্যুর ছিল না।
25. নবী দাউদ তাঁর বিষয়ে বলেছেন,‘আমার চোখ সব সময় মাবুদের দিকে আছে;তিনি আমার ডান পাশে আছেন বলে আমি স্থির থাকব।
26. এইজন্য আমার মন খুশীতে ভরা,আমার জিভ্ আনন্দের কথা বলে,আমার শরীরও আশা নিয়ে বাঁচবে;
27. কারণ তুমি আমাকে কবরে ফেলে রাখবে না,তোমার ভক্তের শরীরকে তুমি নষ্ট হতে দেবে না।
28. জীবনের পথ তুমি আমাকে জানিয়েছ;তোমার কাছে থাকায় আছে পরিপূর্ণ আনন্দ।’
29. “ভাইয়েরা, এই কথা আমি নিশ্চয় করে বলতে পারি যে, রাজবংশের পিতা দাউদ মারা গেছেন, তাঁকে দাফন করা হয়েছে আর তাঁর কবর আজও এখানে রয়েছে।
30. তিনি একজন নবী ছিলেন এবং তিনি জানতেন আল্লাহ্ কসম খেয়ে এই ওয়াদা করেছেন যে, তাঁর সিংহাসনে তাঁরই একজন বংশধরকে তিনি বসাবেন।
31. পরে কি হবে তা দাউদ দেখতে পেয়েছিলেন বলে মৃত্যু থেকে মসীহের আবার জীবিত হয়ে ওঠা সম্বন্ধে বলেছিলেন যে, কবরে মসীহ্কে ফেলে রাখা হয় নি এবং তাঁর শরীরও নষ্ট হয় নি।
32. আল্লাহ্ সেই ঈসাকেই জীবিত করে তুলেছেন, আর আমরা সবাই তার সাক্ষী।
33. আল্লাহ্র ডান দিকে বসবার গৌরব তাঁকেই দান করা হয়েছে এবং ওয়াদা করা পাক-রূহ্কে তিনিই পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন; আর এখন আপনারা যা দেখছেন ও শুনতে পাচ্ছেন তা ঈসাই দিয়েছেন।
34-35. দাউদ নিজে বেহেশতে যান নি, কিন্তু তিনি বলেছেন,‘মাবুদ আমার প্রভুকে বললেন,যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পায়ের তলায় রাখিততক্ষণ তুমি আমার ডান দিকে বস।’