8. এর পরে পৌল মজলিস-খানায় গেলেন এবং তিন মাস পর্যন্ত খুব সাহসের সংগে কথা বললেন। আল্লাহ্র রাজ্য সম্বন্ধে তিনি যুক্তি-তর্কের মধ্য দিয়ে লোকেরা যাতে ঈমান আনে তার চেষ্টা করতে লাগলেন।
9. কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজনের মন কঠিন হয়ে গিয়েছিল বলে তারা ঈমান আনতে চাইল না এবং সকলের সামনে ঈসার পথের বিষয়ে অনেক নিন্দা করতে লাগল। তখন পৌল তাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি উম্মতদের সংগে নিয়ে তুরান্ন নামে একজন শিক্ষকের বক্তৃতা দেবার ঘরে গিয়ে প্রত্যেক দিন যুক্তি-তর্কের সংগে আলোচনা করতে লাগলেন।
10. দু’বছর এইভাবেই চলল। তাতে যে ইহুদী ও গ্রীকেরা এশিয়া প্রদেশে থাকত তারা সবাই মাবুদের কালাম শুনতে পেল।
11. আল্লাহ্ পৌলের মধ্য দিয়ে খুব আশ্চর্য্য অলৌকিক কাজ করতে লাগলেন।
12. তাঁর ব্যবহার করা গামছা ও গায়ের কাপড় রোগীদের কাছে নিয়ে গেলে পর তাদের অসুখ ভাল হয়ে যেত এবং ভূতেরাও ছেড়ে যেত।
13. কয়েকজন ইহুদী ভূত ছাড়িয়ে বেড়াত। হযরত ঈসার নাম ব্যবহার করে তারা ভূতে পাওয়া লোকদের সুস্থ করবার চেষ্টা করতে লাগল। তারা বলত, “পৌল যাঁর বিষয় তবলিগ করেন সেই ঈসার নামে আমি তোমাদের বের হয়ে যাবার হুকুম দিচ্ছি।”
14. তাদের মধ্যে স্কিবা নামে একজন ইহুদী প্রধান ইমামের সাতটি ছেলে ঐ রকম করত।
15. একবার যখন তারা ঐ রকম করছিল তখন ভূত তাদের বলল, “আমি ঈসাকেও চিনি, পৌলকেও চিনি, কিন্তু তোমরা কারা?”
16. যে লোকটিকে ভূতে পেয়েছিল সে তখন সেই সাতজনের উপর লাফিয়ে পড়ল আর তাদের সবাইকে এমনভাবে আঘাত করল যে, তারা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে উলংগ অবস্থায় সেই বাড়ী থেকে পালিয়ে গেল।
17. এই খবর যখন ইফিষে বাসকারী ইহুদী ও গ্রীকেরা জানতে পারল তখন তারা সবাই খুব ভয় পেল, আর হযরত ঈসার নামের খুব প্রশংসা হল।
18. যারা হযরত ঈসার উপর ঈমান এনেছিল এমন অনেক লোক তখন এসে খোলাখুলিভাবেই তাদের খারাপ কাজের বিষয় স্বীকার করল।
19. যারা জাদুর খেলা দেখাত তাদের মধ্যে অনেকে তাদের বই-পুঁথি একসংগে জড়ো করে সবার সামনেই সেগুলো পুড়িয়ে দিল। বইগুলোর দাম হিসাব করলে দেখা গেল পঞ্চাশ হাজার দীনার।
20. মাবুদের কালাম এইভাবে ছড়িয়ে পড়ল এবং তার শক্তি লোকদের মনে আরও বেশী করে কাজ করতে লাগল।
21. এই সব ঘটবার পর পৌল ঠিক করলেন তিনি ম্যাসিডোনিয়া ও আখায়া হয়ে জেরুজালেমে যাবেন। তিনি বললেন, “জেরুজালেমে যাবার পরে আমাকে রোম শহরেও যেতে হবে।”
22. পরে তিনি তীমথিয় ও ইরাস- নামে তাঁর দু’জন সাহায্যকারীকে ম্যাসিডোনিয়াতে পাঠিয়ে দিলেন, আর এদিকে তিনি আরও কিছু দিন এশিয়া প্রদেশে রইলেন।
23. সেই সময়ে ঈসার পথের বিষয় নিয়ে খুব গোলমাল শুরু হল।
24. দীমীত্রিয় নামে একজন স্বর্ণকার দেবী আর্তেমিসের মন্দিরের মত ছোট ছোট রূপার মন্দির তৈরী করত। এতে মিস্ত্রিদের খুব লাভ হত।
25. দীমীত্রিয় সেই মিস্ত্রিদের ও তাদের মত অন্যান্য কারিগরদের এক জায়গায় ডেকে বলল, “ভাইয়েরা, তোমরা তো জান যে, এই ব্যবসা দিয়ে আমাদের আয় বেশ ভালই হয়।