9. কিন্তু যাসোন ও অন্যেরা জামিনের টাকা দিলে পর তারা তাঁদের ছেড়ে দিল।
10. রাত হলে পর ঈমানদার ভাইয়েরা পৌল ও সীলকে বিরয়াতে পাঠিয়ে দিল। সেখানে পৌঁছে তাঁরা ইহুদীদের মজলিস-খানায় গেলেন।
11. থিষলনীকির ইহুদীদের চেয়ে বিরয়া শহরের ইহুদীদের মন অনেক বেশী খোলা ছিল। তারা খুব আগ্রহের সংগে আল্লাহ্র কালাম শুনে তা গ্রহণ করল। পৌল যা বলেছেন তা সত্যি কিনা দেখবার জন্য প্রত্যেক দিন তারা কিতাবের মধ্যে খোঁজ করত।
12. অনেক ইহুদী ঈসার উপর ঈমান আনল; এছাড়া অনেক বিশেষ গ্রীক মহিলা ও পুরুষও ঈমান আনলেন।
13. থিষলনীকির ইহুদীরা যখন শুনতে পেল পৌল বিরয়াতে আল্লাহ্র কালাম তবলিগ করছেন তখন তারা সেখানেও গেল এবং লোকদের উত্তেজিত করে গোলমাল বাধিয়ে দিল।
14. ঈমানদার ভাইয়েরা তখনই পৌলকে সাগরের ধারে পাঠিয়ে দিল, কিন্তু সীল আর তীমথিয় বিরয়াতেই রইলেন।
15. যে লোকেরা পৌলকে সংগে করে নিয়ে যাচ্ছিল তারা তাঁকে এথেন্স শহরে আনল। তারপর সেই লোকেরা সীল ও তীমথিয়ের জন্য এই হুকুম নিয়ে বিরয়াতে ফিরে গেল যে, সীল আর তীমথিয় যত শীঘ্র সম্ভব গিয়ে যেন পৌলের সংগে যোগ দেন।
16. পৌল এথেন্স শহরে সীল ও তীমথিয়ের জন্য অপেক্ষা করবার সময় সেই শহর প্রতিমাতে পূর্ণ দেখলেন। তাতে তাঁর মন খুব ব্যাকুল হয়ে উঠল।
17. তিনি মজলিস-খানার মধ্যে ইহুদীদের ও আল্লাহ্ভক্ত গ্রীকদের সংগে আলোচনা করতে লাগলেন। এছাড়া যারা বাজারে আসত তাদের সংগেও তিনি দিনের পর দিন আলোচনা করতে থাকলেন।
18. তখন এপিকিউরীয় ও স্টোয়িকীয় দলের কয়েকজন শিক্ষক পৌলের সংগে তর্ক জুড়ে দিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বললেন, “এই বাচালটা কি বলতে চাইছে?” আবার অন্যেরা বললেন, “বোধহয় সে বিদেশী দেব-দেবীর কথা প্রচার করছে।” তাঁরা এই কথা বললেন কারণ পৌল ঈসার বিষয় এবং মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার বিষয় তবলিগ করছিলেন।
19. তখন সেই শিক্ষকেরা পৌলকে এরিওপেগসের সভার সামনে উপস্থিত করলেন। সেখানে তাঁরা পৌলকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যে নতুন শিক্ষা আপনি দিচ্ছেন সেটা কি, তা কি আমরা জানতে পারি?
20. কারণ আপনি এমন কতগুলো কথা বলছেন যা আমাদের কানে অদ্ভুত শোনাচ্ছে। সেইজন্য এই সব কথার মানে কি তা আমরা জানতে চাই।”
21. তাঁরা এই কথা বললেন কারণ এথেন্সের সব লোকেরা এবং সেই শহরে যে বিদেশীরা থাকত তারা কেবল নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কথা বলে এবং শুনে সময় কাটাত।
22. তখন পৌল এরিওপেগসের সভার মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “এথেন্স শহরের লোকেরা, শুনুন। আমি দেখতে পাচ্ছি যে, আপনারা সব দিক থেকেই খুব ধর্মভীরু,
23. কারণ আমি ঘুরে বেড়াবার সময় আপনাদের উপাসনার জিনিসগুলো যখন দেখছিলাম তখন এমন একটা বেদী দেখতে পেলাম যার উপরে লেখা আছে, ‘অজানা দেবতার উদ্দেশে।’ আপনারা না জেনে যাঁর উপাসনা করছেন তাঁর সম্বন্ধে আমি আপনাদের কাছে প্রচার করছি।
24. “আল্লাহ্, যিনি এই দুনিয়া ও তার মধ্যে যা আছে সব কিছু তৈরী করেছেন, তিনিই বেহেশত ও দুনিয়ার মালিক। তিনি হাতে তৈরী কোন মন্দিরে বাস করেন না।
25. তাঁর কোন অভাব নেই, সেইজন্য মানুষের হাত থেকে সেবা গ্রহণ করবারও তাঁর দরকার নেই, কারণ তিনিই সব মানুষকে জীবন, প্রাণবায়ু আর অন্যান্য সব কিছু দান করেন।