6. আমি ভাল করে তাকিয়ে দেখলাম তার মধ্যে নানা রকম পশু, বুনো জানোয়ার, বুকে-হাঁটা প্রাণী এবং পাখী আছে।
7. পরে আমি শুনলাম কেউ যেন বলছেন, ‘পিতর, ওঠো, মেরে খাও।’
8. “আমি বললাম, ‘না, না, প্রভু, কিছুতেই না। অপবিত্র বা নাপাক কোন কিছু কখনও আমি মুখে দিই নি।’
9. “এর পরে আসমান থেকে দ্বিতীয় বার বলা হল, ‘আল্লাহ্ যা পাক-সাফ করেছেন তাকে তুমি অপবিত্র বোলো না।’
10. এই রকম তিনবার হল, তার পরে সব কিছু আবার আসমানে তুলে নেওয়া হল।
11. “এর প্রায় সংগে সংগে আমি যে বাড়ীতে ছিলাম সেই বাড়ীতে তিনজন লোক এসে দাঁড়াল। সিজারিয়া থেকে তাদের পাঠানো হয়েছিল।
12. তখন পাক-রূহ্ আমাকে কোন সন্দেহ না করে তাদের সংগে যেতে বললেন। এই ছয়জন ভাইও আমার সংগে গিয়েছিলেন। পরে আমরা সেই লোকের বাড়ীতে ঢুকলাম যিনি আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।
13. তিনি একজন ফেরেশতাকে কেমন ভাবে তাঁর বাড়ীতে দেখেছিলেন তা আমাদের বললেন। সেই ফেরেশতা তাঁকে বলেছিলেন, ‘শিমোন, যাকে পিতরও বলা হয়, তাকে ডেকে আনতে তুমি জাফা শহরে লোক পাঠাও।
14. সে তোমার কাছে যে কথা বলবে সেই কথার দ্বারা তুমি ও তোমার পরিবারের সমস্ত লোক নাজাত পাবে।’
15. “পাক-রূহ্ যেভাবে প্রথমে আমাদের উপরে এসেছিলেন আমি কথা বলতে শুরু করলে পর ঠিক সেইভাবে তাদেরও উপরে আসলেন।
16. তখন প্রভু যা বলেছিলেন সেই কথা আমার মনে পড়ল, ‘ইয়াহিয়া পানিতে তরিকাবন্দী দিতেন, কিন্তু তোমাদের তরিকাবন্দী হবে পাক-রূহে।’
17. তাহলে হযরত ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনলে পর আল্লাহ্ আমাদের যে দান দিয়েছিলেন সেই একই দান যখন তিনি তাদেরও দিলেন তখন আমি কে যে, আল্লাহ্কে বাধা দিতে পারি?”
18. এই কথা শুনে এহুদিয়ার ঈমানদারেরা আর আপত্তি না করে আল্লাহ্র প্রশংসা করে বলল, “তাহলে আল্লাহ্ অ-ইহুদীদেরও জীবন পাবার জন্য তওবা করতে সুযোগ দিলেন।”
19. স্তিফানকে কেন্দ্র করে ঈমানদারদের উপর জুলুমের দরুন যারা ছড়িয়ে পড়েছিল তারা ফিনিশিয়া, সাইপ্রাস ও এণ্টিয়ক পর্যন্ত গিয়ে কেবল ইহুদীদের কাছেই আল্লাহ্র কালাম বলল।