5. ইয়াহিয়া পানিতে তরিকাবন্দী দিতেন, কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে পিতার সেই ওয়াদা অনুসারে পাক-রূহে তোমাদের তরিকাবন্দী হবে।”
6. পরে সাহাবীরা একসংগে মিলিত হয়ে ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “প্রভু, এই সময় কি আপনি বনি-ইসরাইলদের হাতে রাজ্য ফিরিয়ে দেবেন?”
7. ঈসা তাঁদের বললেন, “যে দিন বা সময় পিতা নিজের অধিকারের মধ্যে রেখেছেন তা তোমাদের জানতে দেওয়া হয় নি।
8. তবে পাক-রূহ্ তোমাদের উপরে আসলে পর তোমরা শক্তি পাবে, আর জেরুজালেম, সারা এহুদিয়া ও সামেরিয়া প্রদেশে এবং দুনিয়ার শেষ সীমা পর্যন্ত তোমরা আমার সাক্ষী হবে।”
9. এই কথা বলবার পরে সাহাবীদের চোখের সামনেই ঈসাকে তুলে নেওয়া হল এবং তিনি একটা মেঘের আড়ালে চলে গেলেন।
10. ঈসা যখন উপরে উঠে যাচ্ছিলেন তখন সাহাবীরা একদৃষ্টে আসমানের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এমন সময় সাদা কাপড় পরা দু’জন লোক সাহাবীদের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন,
11. “গালীলের লোকেরা, এখানে দাঁড়িয়ে আসমানের দিকে তাকিয়ে রয়েছ কেন? যাঁকে তোমাদের কাছ থেকে তুলে নেওয়া হল সেই ঈসাকে যেভাবে তোমরা বেহেশতে যেতে দেখলে সেইভাবেই তিনি ফিরে আসবেন।”
12. তখন সাহাবীরা জৈতুন পাহাড় থেকে জেরুজালেমে ফিরে আসলেন। জেরুজালেম শহর থেকে এই পাহাড়টা এক কিলোমিটার দূরে ছিল।
13. শহরে পৌঁছে তাঁরা উপরের তলার যে ঘরে তখন থাকতেন সেখানে গেলেন। এই সাহাবীদের নাম ছিল পিতর, ইউহোন্না, ইয়াকুব ও আন্দ্রিয়, ফিলিপ ও থোমা, বর্থলময় ও মথি, আলফেয়ের ছেলে ইয়াকুব ও মৌলবাদী শিমোন এবং ইয়াকুবের ছেলে এহুদা।
14. তাঁরা সবাই ঈমানদার স্ত্রীলোকদের সংগে এবং ঈসার মা মরিয়ম ও তাঁর ভাইদের সংগে সব সময় একমন হয়ে মুনাজাত করতেন।
15. সেই সময় পিতর একদিন মসীহের উপর ঈমানদার প্রায় একশো কুড়িজন লোকের মধ্যে দাঁড়িয়ে বললেন,
16. “ভাইয়েরা, পাক-রূহ্ অনেক দিন আগে নবী দাউদের মুখ দিয়ে এহুদার বিষয়ে যা বলেছিলেন পাক-কিতাবের সেই কথা পূর্ণ হবার দরকার ছিল। যারা ঈসাকে ধরেছিল, এই এহুদাই তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
17. সে আমাদেরই একজন ছিল এবং আমাদের সংগে কাজ করবার জন্য তাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।”