18. “থুয়াতীরা শহরের জামাতের ফেরেশতার কাছে এই কথা লেখ-ইব্নুল্লাহ্, যাঁর চোখ আগুনের শিখার মত এবং পা খুব চক্চকে পিতলের মত তিনি এই কথা বলছেন:
19. আমি তোমার কাজ, তোমার মহব্বত, তোমার বিশ্বাস, তোমার সেবা এবং তোমার ধৈর্যের কথা জানি। আর তুমি প্রথমে যে সব কাজ করেছিলে তার চেয়ে এখন যে আরও বেশী কাজ করছ সেই কথাও আমি জানি।
20. তবুও তোমার বিরুদ্ধে আমার এই কথা বলবার আছে যে, তুমি ঈষেবল নামে সেই স্ত্রীলোকের অন্যায় সহ্য করছ। এই ঈষেবল নিজেকে নবী বলে। তার শিক্ষার দ্বারা সে আমার গোলামদের ভুলায় যেন তারা জেনা করে এবং মূর্তির কাছে উৎসর্গ-করা খাবার খায়।
21. জেনা থেকে মন ফিরাবার জন্য আমি তাকে সময় দিয়েছিলাম কিন্তু সে মন ফিরাতে রাজী হয় নি।
22. সেইজন্য আমি তাকে বিছানায় ফেলে রাখব, আর যারা তার সংগে জেনা করে তারা যদি জেনা থেকে মন না ফিরায় তবে তাদের ভীষণ কষ্টের মধ্যে ফেলব।
23. তার ছেলেমেয়েদেরও আমি মেরে ফেলব। তাতে সব জামাতগুলো জানতে পারবে যে, আমিই মানুষের দিল ও মন খুঁজে দেখি। আমি কাজ অনুসারে তোমাদের প্রত্যেককে ফল দেব।
24. হে থুয়াতীরার বাকী লোকেরা, তোমরা যারা সেই শিক্ষামত চল না এবং যাকে শয়তানের সেই গভীর শিক্ষা বলা হয় তা জান না, তোমাদের আমি বলছি: তোমাদের উপর আমি অন্য কোন ভার দেব না।
25. কেবল যা তোমাদের আছে, আমি না আসা পর্যন্ত তা শক্ত করে ধরে রাখ।
26-27. পিতা যেমন আমাকে সব জাতির উপরে কর্তৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি যে জয়ী হবে এবং আমি যা চাই তা শেষ পর্যন্ত করতে থাকবে তাকেও আমি সেই কর্তৃত্ব দেব। সে লোহার দণ্ড দিয়ে তাদের শাসন করবে এবং মাটির পাত্রের মত তাদের চুরমার করে ফেলবে।
28. যে জয়ী হবে তাকে আমি ভোরের তারাও দেব।
29. যার শুনবার কান আছে সে শুনুক, পাক-রূহ্ জামাতগুলোকে কি বলছেন।