12. তাঁর চোখ জ্বলন্ত আগুনের মত আর তাঁর মাথায় অনেক তাজ ছিল। তাঁর গায়ে এমন একটা নাম লেখা ছিল, যে নাম তিনি নিজে ছাড়া আর কেউ জানে না।
13. তাঁর পরনে ছিল রক্তে ডুবানো কাপড়, আর তাঁর নাম হল “আল্লাহ্র কালাম।”
14. বেহেশতের সৈন্যদল সাদা পরিষ্কার মসীনার কাপড় পরে সাদা ঘোড়ায় চড়ে তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছিল।
15. তিনি যেন সমস্ত জাতিকে আঘাত করতে পারেন সেইজন্য তাঁর মুখ থেকে একটা ধারালো ছোরা বের হয়ে আসছিল। তিনি লোহার দণ্ড দিয়ে সব জাতিকে শাসন করবেন এবং আংগুর মাড়াই করবার গর্তে তিনি আংগুর পায়ে মাড়াবেন। এই আংগুর মাড়াই করবার গর্ত হল সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র ভয়ংকর গজব।
16. তাঁর পোশাকে ও রানে এই নাম লেখা আছে, “বাদশাহ্দের বাদশাহ্, প্রভুদের প্রভু।”
17. পরে আমি একজন ফেরেশতাকে সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। যে সব পাখী আসমানে উড়ছিল তিনি তাদের সবাইকে জোরে চিৎকার করে বললেন, “এস, আল্লাহ্র মহা মেজবানী খাবার জন্য একসংগে জড়ো হও,
18. যেন তোমরা বাদশাহ্, সেনাপতি, শক্তিশালী লোক, ঘোড়া ও সেই ঘোড়ায় চড়া লোকদের, স্বাধীন ও গোলামদের এবং ছোট-বড় সব মানুষের গোশ্ত খেতে পার।”
19. তারপর আমি দেখলাম, যিনি সেই ঘোড়ার উপর বসে ছিলেন তাঁর ও তাঁর সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য সেই জন্তুটা আর দুনিয়ার বাদশাহ্রা তাদের সৈন্যসামন্ত নিয়ে একসংগে জমায়েত হয়েছে।
20. সেই জন্তুটাকে ধরা হল এবং যে ভণ্ড নবী তার হয়ে কেরামতী কাজ করত তাকেও ধরা হল। যারা সেই জন্তুর চিহ্ন গ্রহণ করেছিল এবং তার মূর্তির পূজা করত সেই ভণ্ড নবী সেই সব অলৌকিক কাজ দিয়ে তাদের ভুলিয়ে রেখেছিল। জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে জীবিত অবস্থায় এই দু’জনকে ফেলে দেওয়া হল।