1. এর পরে আমি বেহেশতে অনেক লোকের ভিড়ের আওয়াজ শুনলাম। তাঁরা বলছিলেন, “আলহামদুলিল্লাহ্! নাজাত, প্রশংসা এবং ক্ষমতা, সবই আমাদের আল্লাহ্র,
2. কারণ তাঁর বিচার সত্য ও ন্যায্য। যে তার জেনা দিয়ে সারা দুনিয়াকে নাপাক করেছিল সেই মহাবেশ্যাকে আল্লাহ্ শাস্তি দিয়েছেন এবং তাঁর গোলামদের রক্তের প্রতিশোধ তিনি তার উপর নিয়েছেন।”
3. তাঁরা দ্বিতীয় বার বললেন, “আলহামদুলিল্লাহ্! তার মধ্য থেকে চিরকাল ধরে ধোঁয়া উঠতে থাকবে।”
4. আল্লাহ্, যিনি সিংহাসনে বসে আছেন তাঁকে সেই চব্বিশজন নেতা ও সেই চারজন প্রাণী সেজদা করে বললেন, “আমিন। আলহামদুলিল্লাহ্!”
5. তখন সিংহাসন থেকে একজন বললেন, “আল্লাহ্র গোলামেরা এবং তোমরা যারা আল্লাহ্কে ভয় কর, তোমরা ছোট-বড় সবাই আমাদের আল্লাহ্র প্রশংসা কর।”
6. তারপর আমি অনেক লোকের ভিড়ের আওয়াজ, জোরে বয়ে যাওয়া স্রোতের আওয়াজ ও জোরে বাজ পড়বার আওয়াজের মত করে বলা এই কথা শুনলাম, “আলহামদুলিল্লাহ্! আমাদের সর্বশক্তিমান মাবুদ আল্লাহ্ রাজত্ব করতে শুরু করেছেন।
7. এস, আমরা মনের খুশীতে খুব আনন্দ করি আর তাঁর প্রশংসা করি, কারণ মেষ-শাবকের বিয়ের সময় হয়েছে এবং তাঁর কনে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।
8. উজ্জ্বল, পরিষ্কার ও মিহি মসীনার কাপড় তাকে পরতে দেওয়া হয়েছে। সেই কাপড় হল আল্লাহ্র বান্দাদের বাধ্যতা।”
9. তারপর সেই ফেরেশতা আমাকে বললেন, “এই কথা লেখ, ‘মেষ-শাবকের বিয়ের ভোজে যাদের দাওয়াত করা হয়েছে তারা ধন্য।’ ” তিনি এই কথাও বললেন, “এগুলো আল্লাহ্রই কথা এবং তা সত্য।”
10. তখন আমি সেই ফেরেশতার পায়ের কাছে উবুড় হয়ে তাঁকে সেজদা করলাম। কিন্তু তিনি আমাকে বললেন, “এ কি করছ? আমি তোমার সহ-গোলাম। আল্লাহ্কেই সেজদা কর। তোমার ঈমানদার ভাইয়েরা, যারা ঈসার শিক্ষা ধরে রাখে, আমি তাদেরই একজন। ঈসার শিক্ষাই ছিল নবীদের শিক্ষার মূল কথা।”
11. পরে আমি দেখলাম বেহেশত খোলাই আছে, আর সেখানে একটা সাদা ঘোড়া রয়েছে। যিনি সেই ঘোড়ার উপরে বসে ছিলেন তাঁর নাম হল বিশ্বস্ত ও সত্য। তিনি ন্যায়ভাবে বিচার ও যুদ্ধ করেন।
12. তাঁর চোখ জ্বলন্ত আগুনের মত আর তাঁর মাথায় অনেক তাজ ছিল। তাঁর গায়ে এমন একটা নাম লেখা ছিল, যে নাম তিনি নিজে ছাড়া আর কেউ জানে না।