2. তখন প্রথম ফেরেশতা গিয়ে তাঁর পেয়ালাটা দুনিয়ার উপর উবুড় করলেন। তার ফলে যাদের উপর সেই জন্তুটার চিহ্ন ছিল এবং যারা তার মূর্তির পূজা করত তাদের গায়ে খুব খারাপ ও বিষাক্ত এক রকমের ঘা দেখা দিল।
3. দ্বিতীয় ফেরেশতা তাঁর পেয়ালাটা সমুদ্রের উপরে উবুড় করলেন। তখন সমুদ্রের পানি মরা মানুষের রক্তের মত হল, আর সমুদ্রের সব প্রাণী মরে গেল।
4. পরে তৃতীয় ফেরেশতা নদী আর ঝর্ণার উপরে তাঁর পেয়ালাটা উবুড় করলেন। তাতে সেগুলো রক্তের নদী ও ঝর্ণা হয়ে গেল।
5. পানির উপরে যে ফেরেশতার ক্ষমতা ছিল আমি তাঁকে এই কথা বলতে শুনলাম:“হে আল্লাহ্ পাক, তুমি আছ এবং তুমি ছিলে।তুমি ন্যায়বান, কারণ তুমি এই সব শাস্তি দিয়েছ।
6. এই লোকেরা আল্লাহ্র বান্দাদের ও নবীদের খুন করেছে।তাই তুমি তাদের এই রক্ত খেতে দিয়েছআর এটাই তাদের পক্ষে উপযুক্ত হয়েছে।”
7. আমি কোরবানগাহ্ থেকে একজনকে এই কথা বলতে শুনলাম:“সর্বশক্তিমান মাবুদ আল্লাহ্,তোমার সব বিচার সত্য ও ন্যায়ে পূর্ণ।”
8. চতুর্থ ফেরেশতা সূর্যের উপরে তাঁর পেয়ালাটা উবুড় করলেন। তাতে লোকদের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবার জন্য সূর্যকে ক্ষমতা দেওয়া হল।
9. তখন ভীষণ তাপে লোকদের গা পুড়ে গেল, আর এই সমস্ত গজবের উপর যাঁর ক্ষমতা আছে তারা সেই আল্লাহ্র বিরুদ্ধে কুফরী করতে লাগল। কিন্তু তবুও তারা মন ফিরাল না এবং আল্লাহ্র প্রশংসা করল না।
12. তারপর ষষ্ঠ ফেরেশতা মহানদী ফোরাতের উপরে তাঁর পেয়ালাটা উবুড় করলেন। তাতে পূর্ব দেশের বাদশাহ্দের যাবার পথ তৈরী হবার জন্য সেই নদীর পানি শুকিয়ে গেল।
13. তখন আমি ব্যাঙের মত তিনটা ভূত দেখতে পেলাম। সেগুলো সেই দানব, সেই জন্তু এবং সেই ভণ্ড নবীর মুখ থেকে বের হয়ে আসছিল।
14. সেই ভূতগুলো কেরামতী কাজ করছিল। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র সেই মহান দিনে যুদ্ধ করবার জন্য তারা সারা দুনিয়ার বাদশাহ্দের একসংগে জমায়েত করল।
15. ঈসা বলছেন, “দেখ, আমি চোরের মত আসব। ধন্য সেই লোক, যে জেগে থাকে এবং নিজের পোশাক পরে থাকে, যেন তাকে উলংগ হয়ে ঘুরতে না হয় আর লোকে তার লজ্জা দেখতে না পায়।”