3. সেই সিংহাসন ও সেই চারজন প্রাণী এবং সেই নেতাদের সামনে তারা একটা নতুন কাওয়ালী গাইছিল। কেউ সেই কাওয়ালী শিখতে পারল না; কেবল সেই এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার লোক, যাদের দুনিয়ার লোকদের মধ্য থেকে কিনে নেওয়া হয়েছিল তারাই শিখতে পারল।
4. এরা সেই লোকেরা, যারা স্ত্রীলোকদের সংগে জেনা করে নিজেদের নাপাক করে নি। যেখানে মেষ-শাবক যান তারা তাঁর পিছনে পিছনে যায়। আল্লাহ্ এবং মেষ-শাবকের কাছে প্রথম ফল হিসাবে কোরবানী দেবার জন্য লোকদের মধ্য থেকে তাদের কিনে নেওয়া হয়েছিল।
5. তারা কখনও মিথ্যা কথা বলে নি, আর তাদের মধ্যে কোন দোষ পাওয়া যায় নি।
6. তারপর আমি আর একজন ফেরেশতাকে আসমানের অনেক উঁচুতে উড়তে দেখলাম। দুনিয়াতে বাসকারী লোকদের কাছে, অর্থাৎ প্রত্যেক জাতি, বংশ, ভাষা ও দেশের লোকদের কাছে প্রচার করবার জন্য তাঁর কাছে চিরকালের সুসংবাদ ছিল।
7. তিনি জোরে জোরে এই কথা বলছিলেন, “আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তাঁর প্রশংসা কর, কারণ বিচার করবার সময় এসে গেছে। যিনি আসমান, জমীন, সমুদ্র ও ঝর্ণা সৃষ্টি করেছেন তাঁর এবাদত কর।”
8. পরে দ্বিতীয় আর একজন ফেরেশতা তাঁর পিছনে পিছনে এসে বললেন, “সেই নাম-করা ব্যাবিলন শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। যে শহর তার জেনার ভয়ংকর মদ সব জাতিকেই খাইয়েছে সেই শহরটা ধ্বংস হয়ে গেছে।”
9. এর পরে তৃতীয় আর একজন ফেরেশতা তাঁদের পিছনে পিছনে এসে জোরে বললেন, “কেউ যদি সেই জন্তু এবং তার মূর্তির পূজা করে এবং তার চিহ্ন কপালে বা হাতে গ্রহণ করে,
10. তবে তাকে আল্লাহ্র গজবের মদ খেতে হবে। এই মদের সংগে পানি না মিশিয়ে আল্লাহ্র গজবের পেয়ালায় ঢেলে দেওয়া হয়েছে। পবিত্র ফেরেশতাদের এবং মেষ-শাবকের সামনে আগুন ও গন্ধকের দ্বারা সেই লোককে যন্ত্রণা দেওয়া হবে।
11. যে আগুন এই লোকদের যন্ত্রণা দেবে সেই আগুনের ধোঁয়া চিরকাল ধরে উঠতে থাকবে। যে লোক সেই জন্তু ও তার মূর্তির পূজা করবে এবং তার নামের চিহ্ন গ্রহণ করবে সে দিনে বা রাতে কখনও বিশ্রাম পাবে না।”
12. যারা আল্লাহ্র হুকুম পালন করে এবং ঈসার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে আল্লাহ্র সেই বান্দাদের এই অবস্থার মধ্যে ধৈর্যের দরকার।