প্রকাশিত কালাম 14:11-20 Kitabul Mukkadas (MBCL)

11. যে আগুন এই লোকদের যন্ত্রণা দেবে সেই আগুনের ধোঁয়া চিরকাল ধরে উঠতে থাকবে। যে লোক সেই জন্তু ও তার মূর্তির পূজা করবে এবং তার নামের চিহ্ন গ্রহণ করবে সে দিনে বা রাতে কখনও বিশ্রাম পাবে না।”

12. যারা আল্লাহ্‌র হুকুম পালন করে এবং ঈসার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে আল্লাহ্‌র সেই বান্দাদের এই অবস্থার মধ্যে ধৈর্যের দরকার।

13. তারপর আমি একজনকে বেহেশত থেকে বলতে শুনলাম, “এই কথা লেখ- এখন থেকে যারা প্রভুর সংগে যুক্ত হয়ে মারা যাবে তারা ধন্য।”পাক-রূহ্‌ এই কথা বলছেন, “জ্বী, তারা ধন্য। তাদের পরিশ্রম থেকে তারা বিশ্রাম পাবে, কারণ তাদের কাজের ফল তাদের সংগে থাকবে।”

14. পরে আমি তাকিয়ে একটা সাদা মেঘ দেখলাম, আর সেই মেঘের উপরে ইব্‌ন্তেআদমের মত কেউ একজন বসে ছিলেন। তাঁর মাথায় জয়ের সোনার তাজ ছিল আর হাতে ছিল ধারালো কাসে-।

15. তারপর আর একজন ফেরেশতা এবাদত-খানা থেকে বের হয়ে আসলেন এবং যিনি সেই মেঘের উপরে বসে ছিলেন তাঁকে জোরে চিৎকার করে বললেন, “আপনার কাসে- লাগান, ফসল কাটুন, কারণ ফসল কাটবার সময় হয়েছে; দুনিয়ার ফসল পুরোপুরি পেকে গেছে।”

16. তখন যিনি সেই মেঘের উপরে বসে ছিলেন তিনি দুনিয়াতে তাঁর কাসে- লাগালেন, আর দুনিয়ার ফসল কাটা হল।

17. পরে বেহেশতের এবাদত-খানা থেকে আর একজন ফেরেশতা বের হয়ে আসলেন। তাঁর কাছেও একটা ধারালো কাসে- ছিল।

18. তারপর কোরবানগাহের কাছ থেকে আর একজন ফেরেশতা বের হয়ে আসলেন। আগুনের উপরে তাঁর ক্ষমতা ছিল। যে ফেরেশতার কাছে ধারালো কাসে- ছিল তাঁকে এই ফেরেশতা জোরে ডেকে বললেন, “তোমার ধারালো কাসে- লাগাও আর দুনিয়ার আংগুর গাছ থেকে আংগুরের থোকাগুলো কেটে জড়ো কর, কারণ আংগুর পেকে গেছে।”

19. তখন সেই ফেরেশতা দুনিয়াতে তাঁর কাসে- লাগালেন এবং দুনিয়ার আংগুর গাছ থেকে সব আংগুর কেটে জড়ো করলেন। পরে সেগুলো আংগুর মাড়াই করবার গর্তের মধ্যে ফেলে দিলেন। এই আংগুর মাড়াই করবার গর্ত হল আল্লাহ্‌র ভয়ংকর গজব।

20. শহরের বাইরে আংগুর মাড়াই করবার গর্তে সেই আংগুরগুলো মাড়াই করা হলে পর তা থেকে রক্ত বের হয়ে আসল ও ঘোড়াগুলোর লাগাম পর্যন্ত উঠল। তাতে প্রায় তিনশো কিলোমিটার পর্যন্ত সব জায়গা রক্তে ডুবে গেল।

প্রকাশিত কালাম 14