1. এর পরে আমি একটা জন্তুকে সমুদ্রের মধ্য থেকে উঠে আসতে দেখলাম। সেই জন্তুটার দশটা শিং আর সাতটা মাথা ছিল। সেই শিংগুলোর উপরে দশটা তাজ ছিল আর মাথাগুলোর উপরে কুফরী করবার জন্য বিভিন্ন নাম লেখা ছিল।
2. সেই জন্তুটা দেখতে ছিল চিতাবাঘের মত, আর তার পাগুলো ছিল ভল্লুকের পায়ের মত এবং মুখটা ছিল সিংহের মুখের মত। সেই দানবটা তার শক্তি, সিংহাসন ও মহা ক্ষমতা সেই জন্তুটাকে দিল।
3. জন্তুটার একটা মাথায় এমন একটা আঘাত ছিল যার ফলে সে মরবার মত হয়েছিল, কিন্তু সেই আঘাতটা ভাল হয়ে গিয়েছিল। তাতে দুনিয়ার সব লোক আশ্চর্য হয়ে সেই জন্তুটার পিছনে পিছনে চলল।
4. দানবটা সেই জন্তুটাকে ক্ষমতা দিয়েছিল বলে লোকেরা সেই দানবকে সেজদা করল, আর জন্তুটাকেও সেজদা করে বলল, “এই জন্তুর মত কে আছে? আর কে-ই বা তার সংগে যুদ্ধ করতে পারে?”
5. গর্ব ও কুফরী করবার জন্য সেই জন্তুটাকে কথা বলবার শক্তি দেওয়া হল। সেই জন্তুটা যেন বিয়াল্লিশ মাস ধরে তার অধিকার খাটাতে পারে সেইজন্য তাকে অনুমতি দেওয়া হল।
6. তখন সেই জন্তুটা আল্লাহ্র ও তাঁর নামের বিরুদ্ধে কুফরী করতে লাগল। এ ছাড়া, তাঁর বাসস্থানের বিরুদ্ধে এবং বেহেশতে যাঁরা থাকেন তাঁদের বিরুদ্ধে খুব অপমানের কথা বলতে লাগল।
7. আল্লাহ্র বান্দাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের জয় করে নেবার ক্ষমতা তাকে দেওয়া হল এবং প্রত্যেক বংশ, দেশ, ভাষা ও জাতির লোকদের উপরে তাকে অধিকার দেওয়া হল।
8. যারা এই দুনিয়ার, অর্থাৎ যাদের নাম মেষ-শাবকের জীবন্তকিতাবে লেখা নেই তারা সবাই সেই জন্তুটাকে সেজদা করবে। এই মেষ-শাবককে দুনিয়া সৃষ্টির আগেই হত্যা করবার জন্য ঠিক করা হয়েছিল।
9. যার শুনবার কান আছে, সে পাক-কিতাবের এই কালাম শুনুক:
10. যার বন্দী হবার কথা আছে সে বন্দী হবে।যার তলোয়ারের আঘাতে খুন হবার কথা আছে সে খুন হবে।এইজন্য আল্লাহ্র বান্দাদের ধৈর্য ও বিশ্বাসের দরকার।
11. এর পরে আমি ভূমি থেকে আর একটা জন্তুকে উঠে আসতে দেখলাম। ভেড়ার মত তার দু’টা শিং ছিল, কিন্তু সেই দানবের মত সে কথা বলত।
12. এই জন্তুটা প্রথম জন্তুটার হয়ে তার সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে লাগল; আর যারা এই দুনিয়ার তাদের দিয়ে সে সেই প্রথম জন্তু, অর্থাৎ যার ভীষণ আঘাত ভাল হয়ে গিয়েছিল তাকে সেজদা করাল।