1. পরে আসমানে একটা মহান চিহ্ন দেখা গেল- একজন স্ত্রীলোক, যার পরনে ছিল সূর্য আর পায়ের নীচে ছিল চাঁদ। বারোটা তারা দিয়ে গাঁথা একটা তাজ তার মাথায় ছিল।
2. সে গর্ভবতী ছিল এবং প্রসব-বেদনায় চিৎকার করছিল।
3. তারপর আসমানে আর একটা চিহ্ন দেখা গেল- আগুনের মত লাল একটা বিরাট দানব। তার সাতটা মাথা ও দশটা শিং, আর মাথাগুলোতে সাতটা তাজ ছিল।
4. তার লেজ দিয়ে সে আসমানের তিন ভাগের এক ভাগ তারা টেনে এনে দুনিয়াতে ছুঁড়ে ফেলে দিল। যে স্ত্রীলোকটির সন্তান হতে যাচ্ছিল দানবটা তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল যেন সন্তানের জন্ম হলেই সে খেয়ে ফেলতে পারে।
5. স্ত্রীলোকটির একটি ছেলে হল। সেই ছেলেই লোহার দণ্ড দিয়ে সমস্ত জাতিকে শাসন করবেন। সেই সন্তানকে আল্লাহ্ ও তাঁর সিংহাসনের কাছে তুলে নেওয়া হল,
6. আর সেই স্ত্রীলোকটি মরুভূমিতে পালিয়ে গেল। আল্লাহ্ সেই মরুভূমিতে তার জন্য একটা জায়গা ঠিক করে রেখেছিলেন যেন এক হাজার দু’শো ষাট দিন সে সেখানে যত্ন পায়।
7. তারপর বেহেশতে যুদ্ধ হল। মিকাইল ও তাঁর অধীন ফেরেশতারা সেই দানব ও তাঁর দূতদের সংগে যুদ্ধ করলেন।
16-18. কিন্তু দুনিয়া সেই স্ত্রীলোকটিকে সাহায্য করল। সেই দানব তার মুখ থেকে যে পানি বের করল দুনিয়া তার মুখ খুলে তা খেয়ে ফেলল। তখন সেই দানব সেই স্ত্রীলোকটির উপর ভীষণ রেগে গেল; আর সেই স্ত্রীলোকের বংশের বাকী লোক, অর্থাৎ যারা আল্লাহ্র হুকুম পালন করে ও ঈসার শিক্ষা ধরে রাখে তাদের বিরুদ্ধে সে যুদ্ধ করতে গেল এবং সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে রইল।