9. তখন সব দেশ, বংশ, ভাষা ও জাতির মধ্য থেকে লোকেরা সাড়ে তিন দিন ধরে ঐ লাশগুলো দেখবে।
10. তারা তাঁদের লাশগুলো দাফন করতে দেবে না। তাঁরা মারা গেছেন বলে যারা এই দুনিয়ার তারা খুশী হবে এবং আনন্দ করবে। লোকেরা একে অন্যের কাছে উপহার পাঠাবে, কারণ যারা এই দুনিয়ার তারা এই দু’জন নবীর দরুন কষ্ট পেয়েছিল।
11. কিন্তু এই সাড়ে তিন দিন পরে আল্লাহ্র দেওয়া প্রাণবায়ু তাঁদের মধ্যে ঢুকল। তাতে তাঁরা পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। তখন যারা তাঁদের দেখল তারা খুব ভয় পেল।
12. পরে সেই দু’জন সাক্ষী বেহেশত থেকে জোরে বলা এই কথা শুনলেন, “এখানে উঠে এস।” তখন তাঁরা তাঁদের শত্রুদের চোখের সামনেই একটা মেঘে করে বেহেশতে উঠে গেলেন।
13. সেই সময় ভীষণ ভূমিকমপ হল এবং সেই শহরের দশ ভাগের এক ভাগ ভেংগে পড়ে গেল। সেই ভূমিকমেপ সাত হাজার লোক মারা গেল। তাতে বাকী সকলে ভয় পেয়ে বেহেশতের আল্লাহ্র প্রশংসা করতে লাগল।
14. এইভাবে দ্বিতীয় বিপদ শেষ হল। দেখ, শীঘ্রই তৃতীয় বিপদ আসছে।
15. পরে সপ্তম ফেরেশতা তাঁর শিংগা বাজালেন। তখন বেহেশতে জোরে জোরে বলা হল, “দুনিয়ার রাজ্য এখন আমাদের মাবুদ ও তাঁর মসীহের হয়েছে।
16. তিনি চিরকাল ধরে রাজত্ব করবেন।” যে চব্বিশজন নেতা আল্লাহ্র সামনে তাঁদের সিংহাসনের উপর বসে ছিলেন তাঁরা উবুড় হয়ে আল্লাহ্কে সেজদা করে বললেন,
17. “সর্বশক্তিমান মাবুদ আল্লাহ্, তুমি আছ এবং তুমি ছিলে। আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করি, কারণ তুমি তোমার মহা ক্ষমতা হাতে নিয়ে রাজত্ব করতে শুরু করেছ।
18. সব জাতি রাগ করেছে, আর তোমার গজব নাজেল করবার সময় হয়েছে। মৃতদের বিচার করবার সময় এসেছে, আর তোমার গোলামদের, অর্থাৎ নবীদের ও তোমার বান্দাদের এবং ছোট-বড় সবাই যারা তোমাকে ভয় করে তাদের পুরস্কার দেবার সময় এসেছে। এছাড়া যারা দুনিয়ার ক্ষতি করছে, তাদের ধ্বংস করবার সময়ও এসেছে।”
19. তারপর বেহেশতের এবাদত-খানাটি খোলা হল এবং সেখানে আল্লাহ্র সাক্ষ্য-সিন্দুকটি দেখা গেল। তখন বিদ্যুৎ চম্কাতে ও ভয়ংকর আওয়াজ হতে আর বাজ পড়তে এবং ভূমিকমপ ও ভীষণ শিলাবৃষ্টি হতে লাগল।