7. দেখ, তিনি মেঘের সংগে আসছেন। প্রত্যেকটি চোখ তাঁকে দেখবে; যারা তাঁকে বিঁধেছিল তারাও দেখবে এবং দুনিয়ার সমস্ত জাতি তাঁর জন্য জোরে জোরে কাঁদবে। তা-ই হোক, আমিন।
8. মাবুদ আল্লাহ্ বলছেন, “আমিই সেই আল্ফা এবং ওমিগা যিনি আছেন, যিনি ছিলেন ও যিনি আসছেন। আমিই সর্বশক্তিমান।”
9. আমি তোমাদের ভাই ইউহোন্না; ঈসার সংগে যুক্ত হয়ে আমি তোমাদের সংগে একই কষ্ট, একই রাজ্য এবং একই ধৈর্যের ভাগী হয়েছি। আল্লাহ্র কালাম ও ঈসার সাক্ষ্য প্রচার করেছিলাম বলে আমাকে পাট্ম দ্বীপে নিয়ে রাখা হয়েছিল।
10. প্রভুর দিনে আমি বিশেষভাবে পাক-রূহের বশে ছিলাম। এমন সময়ে আমার পিছনে শিংগার আওয়াজের মত একজনের জোর গলার আওয়াজ শুনলাম।
11. তিনি আমাকে বললেন, “যা দেখবে তা একটা কিতাবে লেখ, আর তা ইফিষ, ইজমির, পর্গাম, থুয়াতীরা, সার্দ্দি, ফিলাদেলফিয়া ও লায়দিকেয়া- এই সাতটা শহরের সাতটা জামাতের কাছে পাঠিয়ে দাও।”
12. যিনি কথা বলছিলেন তাঁকে দেখবার জন্য আমি ঘুরে দাঁড়ালাম এবং সোনার সাতটা বাতিদান দেখলাম।
13. সেই বাতিদানগুলোর মাঝখানে ইব্ন্তেআদমের মত কেউ একজন ছিলেন। তাঁর পরনে পা পর্যন্ত লম্বা পোশাক ছিল এবং তাঁর বুকে সোনার পটি বাঁধা ছিল।
14. তাঁর মাথার চুল ভেড়ার লোমের ও বরফের মত সাদা ছিল এবং তাঁর চোখ আগুনের শিখার মত ছিল।
15. তাঁর পা ছিল আগুনে পুড়িয়ে পরিষ্কার করা খুব চক্চকে পিতলের মত, আর তাঁর গলার আওয়াজ ছিল জোরে বয়ে যাওয়া স্রোতের আওয়াজের মত।
16. তিনি তাঁর ডান হাতে সাতটা তারা ধরে রেখেছিলেন এবং তাঁর মুখ থেকে একটা ধারালো ছোরা বের হয়ে আসছিল যার দু’দিকেই ধার ছিল। পূর্ণ তেজে জ্বলন্ত সূর্যের মতই তাঁর মুখের চেহারা ছিল।
17. তাঁকে দেখে আমি মরার মত তাঁর পায়ের কাছে পড়ে গেলাম। তখন তিনি তাঁর ডান হাত আমার উপরে রেখে বললেন, “ভয় কোরো না। আমিই প্রথম ও শেষ,
18. আমিই চিরজীবন্ত। আমি মরেছিলাম, আর দেখ, এখন আমি যুগ যুগ ধরে চিরকাল জীবিত আছি। আমার কাছে মৃত্যু ও কবরের চাবি আছে।
19. এইজন্য তুমি যা দেখলে, যা এখন ঘটছে এবং এই সবের পরে যা ঘটবে সেই সব লিখে রাখ।
20. যে সাতটা সোনার বাতিদান ও আমার ডান হাতে যে সাতটা তারা তুমি দেখলে তার গোপন অর্থ এই- সেই সাতটা তারা হল সেই সাতটা জামাতের সাতজন ফেরেশতা এবং সাতটা বাতিদান হল সেই সাতটা জামাত।