13. সেই বাতিদানগুলোর মাঝখানে ইব্ন্তেআদমের মত কেউ একজন ছিলেন। তাঁর পরনে পা পর্যন্ত লম্বা পোশাক ছিল এবং তাঁর বুকে সোনার পটি বাঁধা ছিল।
14. তাঁর মাথার চুল ভেড়ার লোমের ও বরফের মত সাদা ছিল এবং তাঁর চোখ আগুনের শিখার মত ছিল।
15. তাঁর পা ছিল আগুনে পুড়িয়ে পরিষ্কার করা খুব চক্চকে পিতলের মত, আর তাঁর গলার আওয়াজ ছিল জোরে বয়ে যাওয়া স্রোতের আওয়াজের মত।
16. তিনি তাঁর ডান হাতে সাতটা তারা ধরে রেখেছিলেন এবং তাঁর মুখ থেকে একটা ধারালো ছোরা বের হয়ে আসছিল যার দু’দিকেই ধার ছিল। পূর্ণ তেজে জ্বলন্ত সূর্যের মতই তাঁর মুখের চেহারা ছিল।
17. তাঁকে দেখে আমি মরার মত তাঁর পায়ের কাছে পড়ে গেলাম। তখন তিনি তাঁর ডান হাত আমার উপরে রেখে বললেন, “ভয় কোরো না। আমিই প্রথম ও শেষ,
18. আমিই চিরজীবন্ত। আমি মরেছিলাম, আর দেখ, এখন আমি যুগ যুগ ধরে চিরকাল জীবিত আছি। আমার কাছে মৃত্যু ও কবরের চাবি আছে।
19. এইজন্য তুমি যা দেখলে, যা এখন ঘটছে এবং এই সবের পরে যা ঘটবে সেই সব লিখে রাখ।
20. যে সাতটা সোনার বাতিদান ও আমার ডান হাতে যে সাতটা তারা তুমি দেখলে তার গোপন অর্থ এই- সেই সাতটা তারা হল সেই সাতটা জামাতের সাতজন ফেরেশতা এবং সাতটা বাতিদান হল সেই সাতটা জামাত।