নহিমিয়া 2:6-17 Kitabul Mukkadas (MBCL)

6. বাদশাহ্‌র পাশে রাণীও বসে ছিলেন। বাদশাহ্‌ আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কতদিন লাগবে, আর কবেই বা তুমি ফিরে আসবে?” আমি একটা সময়ের কথা বললে পর বাদশাহ্‌ সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে যাবার অনুমতি দিলেন।

7. আমি বাদশাহ্‌কে আরও বললাম, “যদি মহারাজ খুশী হয়ে থাকেন তবে ফোরাত নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে তিনি যেন চিঠি দেন যাতে তাঁরা আমাকে তাঁদের দেশের মধ্য দিয়ে এহুদায় যেতে দেন।

8. এছাড়া তিনি যেন তাঁর বন্তরক্ষক আসফের কাছে একটা চিঠি দেন যাতে তিনি বায়তুল-মোকাদ্দসের পাশের কেল্লার দরজার কড়িকাঠের জন্য এবং শহরের দেয়াল ও আমার থাকবার ঘরের জন্য আমাকে কাঠ দেন।” আমার আল্লাহ্‌র মেহেরবানীর হাত আমার উপরে ছিল বলে বাদশাহ্‌ আমার সব অনুরোধ রক্ষা করলেন।

9. তিনি আমার সংগে কয়েকজন সেনাপতি ও একদল ঘোড়সওয়ার সৈন্যদের পাঠিয়ে দিলেন। পরে আমি ফোরাত নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে গিয়ে বাদশাহ্‌র চিঠি দিলাম।

10. বনি-ইসরাইলদের উপকার করবার জন্য একজন লোক এসেছে শুনে হোরোণীয় সন্‌বল্লট ও অম্মোনীয় কর্মকর্তা টোবিয় খুব অসন্তুষ্ট হল।

13. সেই রাতে বের হয়ে আমি উপত্যকা-দরজার মধ্য দিয়ে সাপ-কূয়া ও তার পরে সার-দরজার দিকে গেলাম এবং জেরুজালেমের ভাংগা দেয়াল ও আগুন দিয়ে ধ্বংস করা দরজাগুলোর অবস্থা ভাল করে দেখলাম।

14. তারপর আমি ঝর্ণা-দরজা ও বাদশাহ্‌র পুকুরের দিকে এগিয়ে গেলাম; কিন্তু আমি যে পশুর উপর চড়ে ছিলাম তার সেই জায়গা দিয়ে যাবার জন্য কোন পথ ছিল না।

15. এইজন্য আমি সেই রাতে দেয়ালের অবস্থা দেখতে দেখতে উপত্যকার মধ্য দিয়ে গেলাম এবং উপত্যকা-দরজা দিয়ে আবার শহরে ফিরে আসলাম।

16. আমি কোথায় গেছি বা কি করেছি তা উঁচু পদের কর্মচারীরা জানতে পারেন নি, কারণ আমি তখনও সাধারণ ইহুদীদের বা ইমামদের বা গণ্যমান্য লোকদের বা উঁচু পদের কর্মচারীদের কিংবা যারা কাজ করবে তাদের কিছুই বলি নি।

17. পরে আমি সেই উঁচু পদের কর্মচারীদের বললাম, “আমরা যে কি রকম দুরবস্থার মধ্যে আছি তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। জেরুজালেম ধ্বংস হয়ে রয়েছে এবং তার দরজাগুলো আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। আসুন, আমরা জেরুজালেমের দেয়াল আবার গেঁথে তুলি। এতে আর আমরা টিট্‌কারির পাত্র থাকব না।”

নহিমিয়া 2