4-6. ইদ্দো, গিন্নথোয়, অবিয়, মিয়ামীন, মোয়াদিয়, বিল্গা, শময়িয়, যোয়ারীব, যিদয়িয়,
32. তাদের পিছনে গেল হোশয়িয় ও এহুদার নেতাদের অর্ধেক লোক।
33. তাঁদের সংগে গেলেন অসরিয়, উযায়ের, মশুল্লম,
34-36. এহুদা, বিন্ইয়ামীন, শময়িয় ও ইয়ারমিয়া। এছাড়া শিংগা হাতে কয়েকজন ইমামও গেলেন। এঁরা হলেন জাকারিয়া এবং তাঁর সহকর্মী শময়িয়, অসরেল, মিললয়, গিললয়, মায়য়, নথনেল, এহুদা ও হনানি। জাকারিয়ার পূর্বপুরুষেরা ছিলেন যোনাথন, শময়িয়, মত্তনিয়, মিকায়, সক্কুর ও আসফ। এঁরা আল্লাহ্র বান্দা দাউদের কথামত নানারকম বাজনা নিয়ে চললেন। আলেম উযায়ের এই দলের আগে আগে চললেন।
37. ঝর্ণা-দরজার কাছে যেখানে দেয়াল উপরের দিকে উঠে গেছে সেখানে তাঁরা সোজা দাউদ-শহরে উঠবার সিঁড়ি দিয়ে উঠে দাউদের বাড়ীর পাশ দিয়ে পূর্ব দিকে পানি-দরজায় গেলেন।
38. দ্বিতীয় কাওয়ালীর দলটা উল্টা দিকে এগিয়ে গেল। আমি বাকী অর্ধেক লোক নিয়ে দেয়ালের উপর দিয়ে তাদের পিছনে পিছনে গেলাম। তারা তন্দুর-কেল্লা পার হয়ে চওড়া দেয়াল পর্যন্ত গেল।
39. তারপর আফরাহীম-দরজা, যিশানা-দরজা, মাছ-দরজা, হননেলের কেল্লা ও হম্মেয়ার কেল্লার পাশ দিয়ে মেষ-দরজা পর্যন্ত গেল। তারপর পাহারাদার-দরজার কাছে গিয়ে তারা থামল।
40. যে দু’টি কাওয়ালীর দল শুকরিয়া জানিয়েছিল তারা তারপর আল্লাহ্র ঘরের মধ্যে তাদের জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল। আমিও তা-ই করলাম আর আমার সংগে রইলেন উঁচু পদের কর্মচারীদের মধ্য থেকে অর্ধেক লোক।
41. ইলীয়াকীম, মাসেয়, মিনিয়ামীন, মিকায়, ইলিয়ৈনয়, জাকারিয়া ও হনানিয় নামে ইমামেরা তাঁদের শিংগা নিয়ে আমার সংগে রইলেন।
42. এছাড়া রইলেন মাসেয়, শময়িয়, ইলিয়াসর, উষি, যিহোহানন, মল্কিয়, ইলাম ও এষর। কাওয়ালীর দলের লোকেরা যিষ্রহিয়ের নির্দেশ মত কাওয়ালী গাইল।
43. আল্লাহ্ তাদের প্রচুর আনন্দ দান করেছেন বলে সেই দিন লোকেরা বড় একটা কোরবানী দিল ও খুব আনন্দ করল। তাদের স্ত্রীলোকেরা ও ছেলেমেয়েরাও আনন্দ করল। জেরুজালেমের লোকদের এই আনন্দের আওয়াজ অনেক দূর পর্যন্ত শোনা গেল।
44. ভাণ্ডার-ঘরে যে সব দান, প্রথমে তোলা ফসল ও দশমাংশ আনা হত তার তদারকির জন্য সেই সময় লোকদের নিযুক্ত করা হল। তারা গ্রামগুলোর আশেপাশের ক্ষেত থেকে শরীয়ত অনুসারে ইমাম ও লেবীয়দের জন্য লোকদের কাছ থেকে ফসলের অংশ নিয়ে আসত। এহুদার লোকেরা খুশী মনে দিত, কারণ খেদমতকারী ইমাম ও লেবীয়দের কাজে তারা সন্তুষ্ট ছিল।
45. দাউদ ও তাঁর ছেলে সোলায়মানের হুকুম অনুসারে ইমাম ও লেবীয়রা তাঁদের আল্লাহ্র এবাদত-কাজ ও পাক-সাফ করবার কাজ করতেন আর কাওয়াল ও রক্ষীরাও তাদের নির্দিষ্ট কাজ করত।