1. যে সব ইমাম ও লেবীয়রা শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল ও ইউসার সংগে বন্দীদশা থেকে ফিরে এসেছিলেন তাঁরা হলেন:ইমামদের মধ্যে সরায়, ইয়ারমিয়া, উযায়ের,
2. অমরিয়, মল্লুক, হটুশ,
3. শখনিয়, রহূম, মরেমোৎ,
4-6. ইদ্দো, গিন্নথোয়, অবিয়, মিয়ামীন, মোয়াদিয়, বিল্গা, শময়িয়, যোয়ারীব, যিদয়িয়,
10. ইউসার ছেলের নাম যোয়াকীম, যোয়াকীমের ছেলের নাম ইলিয়াশীব, ইলিয়াশীবের ছেলের নাম যোয়াদা;
11. যোয়াদার ছেলের নাম যোনাথন আর যোনাথনের ছেলের নাম যদ্দূয়।
12. যোয়াকীমের সময়ে ইমাম-বংশগুলোর মধ্যে যাঁরা প্রধান ছিলেন তাঁরা হলেন সরায়ের বংশের মরায়, ইয়ারমিয়ার বংশের হনানিয়,
13. উযায়েরের বংশের মশুল্লম, অমরিয়ের বংশের যিহোহানন,
14. মল্লূকীর বংশের যোনাথন, শবনিয়ের বংশের ইউসুফ,
15. হারীমের বংশের অদ্ন, মরায়োতের বংশের হিল্কয়
16. ইদ্দোর বংশের জাকারিয়া, গিন্নথোনের বংশের মশুল্লম,
17. অবিয়ের বংশের সিখ্রি, মিনিয়ামীনের বংশের একজন, মোয়দিয়ের বংশের পিল্টয়,
18. বিল্গার বংশের সম্মুয়, শময়িয়ের বংশের যিহোনাথন,
19. যোয়ারীবের বংশের মত্তনয়, যিদয়িয়ের বংশের উষি,
20. সল্লয়ের বংশের কল্লয়, আমোকের বংশের আবের,
21. হিল্কিয়ের বংশের হশবিয়, যিদয়িয়ের বংশের নথনেল।
22. ইলিয়াশীব, যোয়াদা, যোহানন, ও যদ্দূয়ের জীবনকালে লেবীয়দের এবং ইমামদের বংশের প্রধানদের নাম তালিকায় লেখা হচ্ছিল, আর তা শেষ হয়েছিল পারস্যের বাদশাহ্ দারিয়ুসের রাজত্বকালে।
23. লেবির বংশের প্রধানদের নাম ইলিয়াশীবের ছেলে যোহাননের সময় পর্যন্ত খান্দাননামা নামে কিতাবের মধ্যে লেখা হয়েছিল।
24. লেবীয়দের নেতা হশবিয়, শেরেবিয়, কদ্মীয়েলের ছেলে ইউসা ও তাঁদের বংশের লোকেরা আল্লাহ্র বান্দা দাউদের কথামতই অন্য দলের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দলের পর দল আল্লাহ্র প্রশংসা করতেন ও শুকরিয়া জানাতেন।
25. মত্তনিয়, বক্বুকিয়, ওবদিয়, মশূল্লম, টল্মোন ও অক্কুব ছিল রক্ষী। এরা দরজার কাছের ভাণ্ডার-ঘরগুলো পাহারা দিত।
26. ইউসার ছেলে, অর্থাৎ যোষাদকের নাতি যোয়াকীম ও শাসনকর্তা নহিমিয়া এবং ইমাম ও আলেম উযায়েরের সময়ে এরা পাহারা দিত।
27. জেরুজালেমের দেয়াল আল্লাহ্র উদ্দেশে উৎসর্গের অনুষ্ঠানের সময়ে লেবীয়রা যেখানে বাস করত সেখান থেকে তাদের জেরুজালেমে আনা হল যাতে তারা করতাল, বীণা, ও সুরবাহার বাজিয়ে ও শুকরিয়া-কাওয়ালী গেয়ে আনন্দের সংগে সেই অনুষ্ঠান পালন করতে পারে।
28-29. জেরুজালেমের আশেপাশের জায়গা থেকে নটোফাতীয়দের গ্রামগুলো থেকে, বৈৎ-গিল্গল থেকে এবং গেবা ও অস্মাবৎ এলাকা থেকে কাওয়ালদেরও এনে জমায়েত করা হল। এই লেবীয় কাওয়ালেরা জেরুজালেমের চারপাশের এই সব জায়গায় নিজেদের জন্য গ্রাম স্থাপন করেছিল।
30. ইমাম ও লেবীয়রা নিজেদের পাক-সাফ করলেন এবং লোকদেরও পাক-সাফ করলেন; পরে দরজাগুলো ও দেয়াল পাক-সাফ করলেন।
31. তারপর আমি এহুদার নেতাদের সেই দেয়ালের উপরে নিয়ে গেলাম এবং শুকরিয়া জানাবার জন্য দু’টা বড় কাওয়ালীর দল নিযুক্ত করলাম। একটা দল দেয়ালের উপর দিয়ে ডান দিকে সার-দরজার দিকে গেল।
32. তাদের পিছনে গেল হোশয়িয় ও এহুদার নেতাদের অর্ধেক লোক।
33. তাঁদের সংগে গেলেন অসরিয়, উযায়ের, মশুল্লম,
34-36. এহুদা, বিন্ইয়ামীন, শময়িয় ও ইয়ারমিয়া। এছাড়া শিংগা হাতে কয়েকজন ইমামও গেলেন। এঁরা হলেন জাকারিয়া এবং তাঁর সহকর্মী শময়িয়, অসরেল, মিললয়, গিললয়, মায়য়, নথনেল, এহুদা ও হনানি। জাকারিয়ার পূর্বপুরুষেরা ছিলেন যোনাথন, শময়িয়, মত্তনিয়, মিকায়, সক্কুর ও আসফ। এঁরা আল্লাহ্র বান্দা দাউদের কথামত নানারকম বাজনা নিয়ে চললেন। আলেম উযায়ের এই দলের আগে আগে চললেন।
37. ঝর্ণা-দরজার কাছে যেখানে দেয়াল উপরের দিকে উঠে গেছে সেখানে তাঁরা সোজা দাউদ-শহরে উঠবার সিঁড়ি দিয়ে উঠে দাউদের বাড়ীর পাশ দিয়ে পূর্ব দিকে পানি-দরজায় গেলেন।
38. দ্বিতীয় কাওয়ালীর দলটা উল্টা দিকে এগিয়ে গেল। আমি বাকী অর্ধেক লোক নিয়ে দেয়ালের উপর দিয়ে তাদের পিছনে পিছনে গেলাম। তারা তন্দুর-কেল্লা পার হয়ে চওড়া দেয়াল পর্যন্ত গেল।
39. তারপর আফরাহীম-দরজা, যিশানা-দরজা, মাছ-দরজা, হননেলের কেল্লা ও হম্মেয়ার কেল্লার পাশ দিয়ে মেষ-দরজা পর্যন্ত গেল। তারপর পাহারাদার-দরজার কাছে গিয়ে তারা থামল।