13. “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে তোমরা ভয় করবে, কেবল তাঁরই এবাদত করবে এবং তাঁর নামেই কসম খাবে।
14. তোমাদের আশেপাশে যে সব জাতি থাকবে তোমরা তাদের দেব-দেবীদের পিছনে যাবে না,
15. কারণ তোমাদের মধ্যে তোমাদের যে মাবুদ আল্লাহ্ রয়েছেন তিনি তাঁর পাওনা এবাদত সম্বন্ধে খুব আগ্রহী; দেব-দেবীদের পিছনে গেলে তোমাদের বিরুদ্ধে তাঁর রাগের আগুন জ্বলে উঠবে, আর তিনি দুনিয়ার উপর থেকে তোমাদের ধ্বংস করে ফেলবেন।
16. তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে পরীক্ষা করতে যেয়ো না, যেমন তোমরা মঃসাতে করেছিলে।
17. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে সব হুকুম, সাবধানের কথা আর নিয়ম দিয়েছিলেন তা অবশ্যই তোমাদের পালন করতে হবে।
18-19. তোমাদের যাতে উন্নতি হয় সেইজন্য মাবুদের চোখে যা ঠিক এবং ভাল তোমরা তা-ই কোরো। তাতে মাবুদ তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে কসম খেয়ে যে চমৎকার দেশটি দেবার ওয়াদা করেছিলেন, সেই দেশে গিয়ে তোমরা তা অধিকার করতে পারবে এবং মাবুদ যেমন বলেছিলেন তেমনি করে তোমাদের সামনে থেকে তোমাদের শত্রুদের তোমরা তাড়িয়ে দিতে পারবে।
20. “ভবিষ্যতে যখন তোমাদের ছেলেরা তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে, ‘আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ এই যে সব সাবধানের কথা, নিয়ম ও নির্দেশ তোমাদের দিয়েছেন সেই সবের মানে কি?’
21. তখন তোমরা তাদের বলবে, ‘মিসর দেশে আমরা ফেরাউনের গোলাম ছিলাম, কিন্তু মাবুদ শক্তিশালী হাত ব্যবহার করে সেখান থেকে আমাদের বের করে এনেছেন।
22. মাবুদ আমাদের চোখের সামনে ফেরাউন ও তাঁর বাড়ীর সকলের উপর এবং মিসর দেশের উপর বড় বড় এবং ভয়ংকর অলৌকিক চিহ্ন ও কুদরতি দেখিয়েছিলেন।
23. কিন্তু সেখান থেকে তিনি আমাদের বের করে এনেছিলেন যাতে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশ দেবার কসম তিনি খেয়েছিলেন সেই দেশে নিয়ে গিয়ে আমাদের তা দিতে পারেন।
24. আজকের মত যেন সব সময় আমাদের উন্নতি হয় আর আমরা বেঁচে থাকতে পারি সেইজন্য মাবুদ আমাদের এই সব নিয়ম পালন করতে এবং আমাদের মাবুদ আল্লাহ্কে ভয় করতে হুকুম দিয়েছেন।
25. আমরা যদি আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র সামনে তাঁর হুকুম মত এই শরীয়ত মেনে চলবার দিকে মন দিই, তবে সেটাই হবে আমাদের পক্ষে তাঁর ইচ্ছামত চলা।’