22. “সেই পাহাড়ের উপর আগুন, মেঘ ও গাঢ় অন্ধকারের মধ্য থেকে মাবুদ এই হুকুমগুলোই তোমাদের সকলের কাছে জোরে ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া তিনি তোমাদের কাছে আর কিছু বলেন নি। পরে তিনি সেগুলো দু’টি পাথরের ফলকের উপর লিখে আমার কাছে দিয়েছিলেন।
23. “সেই দিন যখন পাহাড়টা জ্বলছিল আর অন্ধকারের মধ্য থেকে তোমরা তাঁর গলার আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলে তখন তোমাদের সব গোষ্ঠী-সর্দারেরা আর বৃদ্ধ নেতারা আমার কাছে উঠে এসেছিলেন।
24. তোমরা তখন বলেছিলে, ‘আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে কত গৌরবময় ও মহান তা তিনি আমাদের দেখিয়েছেন আর আগুনের মধ্য থেকে আমরা তাঁর গলার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি। আজকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, আল্লাহ্ কারও কাছে কথা বলবার পরেও সে বেঁচে থাকতে পারে।
25. কিন্তু এর পর আমরা মারা পড়তে যাব কেন? এই মহান আগুন তো আমাদের পুড়িয়ে ফেলবে; আর বেশীক্ষণ যদি আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র গলার আওয়াজ শুনতে পাই তবে আমরা মারা পড়বই।
26. মানুষের মধ্যে এমন কে আছে যে, আমাদের মত করে আগুনের মধ্য থেকে জীবন্ত আল্লাহ্র গলার আওয়াজ শুনবার পরেও বেঁচে আছে?
27. আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যা বলেছেন, আপনিই কাছে গিয়ে তা শুনে আসুন। তিনি আপনাকে যা বলবেন তা আমাদের জানিয়ে দেবেন; আমরা তা শুনে সেইমতই চলব।’
28. “আমার সংগে যখন তোমরা কথা বলছিলে তখন মাবুদ তোমাদের কথা শুনেছিলেন এবং আমাকে বলেছিলেন, ‘এই লোকেরা তোমাকে যা বলেছে তা আমি শুনেছি। তারা যা বলেছে তা ভালই।
29. আমাকে ভয় করবার এবং আমার হুকুম পালন করে চলবার এই মনোভাব যেন তাদের সব সময় থাকে। তাতে তাদের ও তাদের সন্তানদের চিরস্থায়ী উন্নতি হবে।
30. “‘তুমি তাদের তাম্বুতে ফিরে যেতে বল,
31. কিন্তু তুমি এখানে আমার কাছে থাক। আমি তোমাকে সেই সমস্ত হুকুম, আইন ও নিয়ম দেব যা তোমাকে তাদের শিখাতে হবে, যেন অধিকার করবার জন্য যে দেশ আমি তাদের দিতে যাচ্ছি সেখানে তারা সেগুলো পালন করে চলে।’
32. “কাজেই তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের যা করবার হুকুম দিয়েছেন তা তোমাদের যত্নের সংগে পালন করতে হবে; তা থেকে একটুও এদিক-সেদিক হওয়া চলবে না।
33. যাতে তোমরা বাঁচতে পার এবং তোমাদের উন্নতি হয় আর যে দেশ তোমরা অধিকার করবে সেখানে অনেক দিন বেঁচে থাকতে পার সেইজন্য তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে যে পথে তোমাদের চলবার হুকুম দিয়েছেন তোমরা সেই সব পথেই চলবে।