19. “তোমরা এখন এই গজলটি লিখে নাও। এটা বনি-ইসরাইলদের শিখাবে এবং তাদের দিয়ে গাওয়াবে, যাতে তাদের বিরুদ্ধে এটা আমার পক্ষে একটা সাক্ষী হয়ে থাকে।
20. তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে আমার কসম খাওয়া সেই দুধ আর মধুতে ভরা দেশে যখন আমি তাদের নিয়ে যাব আর যখন তারা পেট ভরে খেয়ে সুখে থাকবে তখন তারা আমাকে তুচ্ছ করে আমার ব্যবস্থার অগ্রাহ্য করে দেব-দেবীর পিছনে গিয়ে তাদের পূজা করবে।
21. ফলে তাদের উপর যখন অনেক বিপদ ও দুঃখ-কষ্ট নেমে আসবে তখন এই গজলটাই তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে, কারণ তাদের বংশধরেরা গজলটি ভুলে যাবে না। আমার কসম খেয়ে ওয়াদা করা দেশে তাদের নিয়ে যাওয়ার আগেই আমি জানি যে, তাদের অন্তরে এখন কি রয়েছে।”
22. মূসা ঐ দিন গজলটি লিখে বনি-ইসরাইলদের শিখিয়েছিলেন।
23. নূনের ছেলে ইউসাকে মাবুদ এই হুকুম দিলেন, “তুমি শক্তিশালী হও ও মনে সাহস আন। যে দেশ দেবার ওয়াদা আমি কসম খেয়ে বনি-ইসরাইলদের কাছে করেছিলাম সেখানে তুমিই তাদের নিয়ে যাবে। আমি নিজেই তোমার সংগে থাকব।”
24. মূসা এই শরীয়ত আগাগোড়া একটি কিতাবে লিখে নিলেন।
25. তারপর মাবুদের সাক্ষ্য-সিন্দুক বহনকারী লেবীয়দের তিনি বললেন,
26. “এই তৌরাত কিতাব নিয়ে তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র সাক্ষ্য-সিন্দুকের পাশে রাখ। এটা বনি-ইসরাইলদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে সেখানে থাকবে।
27. তোমরা যে কেমন একগুঁয়ে ও বিদ্রোহী তা আমার জানা আছে। আমি তোমাদের মধ্যে বেঁচে থাকতেই যখন তোমরা মাবুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছ তখন আমি মারা যাওয়ার পরে আরও কত বেশী করেই না তা করবে।
28. তোমরা তোমাদের গোষ্ঠীর বৃদ্ধ নেতাদের ও কর্মচারীদের সবাইকে আমার সামনে জমায়েত কর। আমি তাদের এই সব কথা বলতে চাই আর আসমান ও জমীনকে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী রেখে যেতে চাই।
29. আমি জানি যে, আমার মৃত্যুর পরে তোমরা একেবারেই খারাপ হয়ে যাবে এবং যে পথে আমি তোমাদের চলবার নির্দেশ দিয়েছি তোমরা তা থেকে সরে যাবে। ভবিষ্যতে তোমাদের উপর বিপদ নেমে আসবে, কারণ মাবুদের চোখে যা খারাপ তোমরা তা করবে এবং তোমাদের নিজের হাতে গড়া মূর্তি দিয়ে তোমরা তাঁকে রাগিয়ে তুলবে।”
30. তারপর মূসা এই গজলের কথাগুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত বনি-ইসরাইলদের শোনালেন: