3. “এইভাবে আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ বাশনের বাদশাহ্ উজ ও তাঁর সমস্ত সৈন্য-সামন্তকে আমাদের হাতে দিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা তাদের সবাইকে হত্যা করেছিলাম; কাউকেই বাঁচিয়ে রাখি নি।
4. সেই সময় আমরা তাঁর সব গ্রাম ও শহরগুলো নিয়ে নিয়েছিলাম। তাঁর ষাটটা শহরের সবগুলোই আমরা দখল করে নিয়েছিলাম; একটাও বাদ রাখি নি। গোটা অর্গোব এলাকাটা, অর্থাৎ বাশনের মধ্যে উজের গোটা রাজ্যটা আমরা দখল করে নিয়েছিলাম।
5. এই সব শহরগুলো উঁচু উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল আর তাতে ছিল দরজা আর হুড়কা। অনেকগুলো দেয়াল ছাড়া গ্রামও সেখানে ছিল।
6. আমরা সেই সব গ্রাম ও শহর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। হিষ্বোনের বাদশাহ্ সীহোনের প্রতি আমরা যেমন করেছিলাম তেমনি করে তাদের পুরুষ, স্ত্রীলোক ও ছেলেমেয়ে এবং প্রত্যেকটা গ্রাম ও শহর আমরা একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম।
7. কিন্তু সেখান থেকে সমস্ত পশুপাল এবং লুট করে আনা জিনিসপত্র আমরা নিজেদের জন্য নিয়ে এসেছিলাম।
8. “সেই সময় আমরা অর্ণোন নদী থেকে হর্মোণ পাহাড় পর্যন্ত জর্ডান নদীর পূর্ব দিকের এলাকাটা এই দু’জন আমোরীয় বাদশাহ্র হাত থেকে নিয়ে নিয়েছিলাম।
9. (সিডনীয়রা হর্মোণকে সিরিয়োণ বলে আর আমোরীয়রা বলে সনীর।)
10. ঐ মালভূমির সমস্ত গ্রাম ও শহর, সব গিলিয়দ এলাকা এবং বাশনের বাদশাহ্ উজের রাজ্যের সল্খা ও ইদ্রিয়ী শহর পর্যন্ত গোটা বাশন দেশটা আমরা দখল করে নিয়েছিলাম।
11. রফায়ীয়দের বাকী লোকদের মধ্যে কেবল বাশনের বাদশাহ্ উজই বেঁচে ছিলেন। তাঁর লোহার তৈরী শোবার খাটটা ছিল লম্বায় প্রমাণ হাতের নয় হাত আর চওড়ায় চার হাত। ওটা এখনও অম্মোনীয়দের রব্বা শহরে আছে।
12. “আমাদের অধিকার করা জায়গা থেকে আমি তখন অর্ণোন নদীর কাছে অরোয়ের শহরের বাইরে উত্তর দিকের এলাকাটা এবং গিলিয়দের পাহাড়ী এলাকার অর্ধেক ও সেখানকার সব গ্রাম ও শহর রূবেণ ও গাদ-গোষ্ঠীর লোকদের দিলাম।