13. গিলিয়দ দেশের বাকী অংশ এবং বাদশাহ্ উজের গোটা বাশন রাজ্যটা আমি মানশা-গোষ্ঠীর অর্ধেক লোককে দিলাম।“বাশনের মধ্যেকার সমস্ত অর্গোব এলাকাটাকে রফায়ীদের দেশ বলা হত।
14. যায়ীর নামে মানশার এক বংশধর গশূরীয় ও মাখাথীয়দের সীমানা পর্যন্ত গোটা অর্গোব এলাকাটা দখল করে নিজের নাম অনুসারে তার নাম রেখেছিল। তাই এখন বাশনকে হব্বোৎ-যায়ীর বলা হয়ে থাকে।
15. “আমি মাখীরকে গিলিয়দ এলাকাটা দিলাম।
16. কিন্তু গিলিয়দ থেকে অর্ণোন উপত্যকার মাঝখানের সীমারেখাটা পর্যন্ত সমস্ত জায়গা এবং সেখান থেকে অম্মোনীয়দের সীমানা যব্বোক নদী পর্যন্ত আমি রূবেণ ও গাদ-গোষ্ঠীর লোকদের দিলাম।
17. পশ্চিম দিকে তাদের শেষ সীমানা ছিল আরবার জর্ডান নদীর যে অংশটা গালীল সাগর থেকে পিস্গা পাহাড়শ্রেণীর ঢালু অংশের নীচে আরবার সমুদ্র, অর্থাৎ মরু-সাগর পর্যন্ত চলে গেছে সেই অংশটা।
18. “তারপর আমি তাদের বললাম, ‘তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ এই জায়গাটা তোমাদের দখল করবার জন্য দিয়েছেন। কিন্তু তোমাদের মধ্যে যাদের গায়ে জোর আছে সেই সব লোকদের যুদ্ধের জন্য তৈরী হয়ে ইসরাইলীয় ভাইদের আগে আগে নদী পার হয়ে যেতে হবে।
19. তবে তোমাদের যে সব গ্রাম ও শহর দেওয়া হল সেখানে তোমাদের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে আর পশুপাল রেখে যেতে পারবে। আমি জানি তোমাদের পশু অনেক।
20. মাবুদ যতদিন পর্যন্ত তোমাদের মত করে তোমাদের ভাইদেরও বিশ্রামের সুযোগ না দেন এবং জর্ডানের ওপারে যে দেশটা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তাদের দিতে যাচ্ছেন তা তারা অধিকার না করে ততদিন পর্যন্ত তোমাদের যুদ্ধ করে যেতে হবে। তার পরে এই যে জায়গা-জমি তোমাদের দেওয়া হল এখানে তোমরা ফিরে আসতে পারবে।’
21. “সেই সময় আমি ইউসাকে বললাম, ‘তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ এই দু’জন বাদশাহ্র অবস্থা কি করেছেন তা তো তুমি নিজের চোখেই দেখেছ। তোমরা যেখানে যাচ্ছ সেখানকার সব রাজ্যগুলোর অবস্থাও মাবুদ তা-ই করবেন।
22. তোমরা তাদের ভয় কোরো না; তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ নিজে তোমাদের হয়ে যুদ্ধ করবেন।’
23. “সেই সময় আমি মাবুদকে মিনতি করে বলেছিলাম,
24. ‘হে আল্লাহ্ মালিক, তুমি যে কত মহান এবং শক্তিশালী তা তোমার গোলামকে দেখাতে শুরু করেছ। বেহেশতে বা দুনিয়াতে কোন্ দেবতা আছে যে, তুমি যে সব কাজ করেছ তা করতে পারে এবং তুমি যে শক্তি দেখিয়েছ তা দেখাতে পারে?
25. জর্ডান নদী পার হয়ে গিয়ে ঐ চমৎকার দেশটা, অর্থাৎ ঐ পাহাড়ী দেশটা আর লেবানন আমাকে দেখতে দাও।’
26. “কিন্তু তোমাদের দরুন মাবুদ আমার উপর বিরক্ত হওয়াতে আমার কথা তিনি শুনলেন না। তিনি বললেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। এই বিষয়ে আমাকে আর বোলো না।
27. তুমি পিস্গার চূড়ায় উঠে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমে চেয়ে দেখ। জর্ডান নদী পার হয়ে যখন তোমার যাওয়া হবে না তখন নিজের চোখে দেশটা একবার দেখে নাও।
28. ইউসাকে কি করতে হবে তা তুমি তাকে বলে দাও; তাকে উৎসাহ ও সাহস দাও, কারণ সে-ই আগে আগে গিয়ে লোকদের পার করে নিয়ে যাবে এবং যে দেশটা তুমি দেখতে যাচ্ছ তা তাদের দিয়ে অধিকার করাবে।’
29. সেইজন্য আমরা বৈৎ-পিয়োরের উল্টা দিকের উপত্যকায় থেকে গেলাম।