9. সৈন্যদের কাছে কথা বলা শেষ করে নেতারা সৈন্যদের বিভিন্ন দলের উপরে তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করবে।
10. “তোমরা কোন গ্রাম বা শহর আক্রমণ করতে যাওয়ার আগে সেখানকার লোকদের কাছে বিনা যুদ্ধে অধীনতা মেনে নেবার প্রস্তাব করবে।
11. যদি তাতে তারা রাজী হয়ে তাদের দরজা খুলে দেয় তবে সেখানকার সমস্ত লোকেরা তোমাদের অধীন হবে এবং তোমাদের জন্য কাজ করতে বাধ্য থাকবে।
12. কিন্তু তারা যদি সেই প্রস্তাবে রাজী না হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে তবে সেই জায়গা তোমরা আক্রমণ করবে।
13. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যখন সেই জায়গাটা তোমাদের হাতে তুলে দেবেন তখন সেখানকার সব পুরুষ লোকদের তোমরা হত্যা করবে।
14. তবে স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে, পশুপাল এবং সেই জায়গার অন্য সব কিছু তোমরা লুটের জিনিস হিসাবে নিজেদের জন্য নিতে পারবে। শত্রুদের দেশ থেকে লুট করা যে সব জিনিস তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের দেবেন তা তোমরা ভোগ করতে পারবে।
15. যে সব শহর তোমাদের দেশ থেকে দূরে আছে, যেগুলো তোমাদের কাছের জাতিগুলোর শহর নয়, সেগুলোর প্রতি তোমরা এই রকম করবে।
16. কিন্তু তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ সম্পত্তি হিসাবে যে সব জাতিদের গ্রাম ও শহর তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেখানকার কাউকেই তোমরা বাঁচিয়ে রাখবে না।
17. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র হুকুম অনুসারে তোমরা হিট্টীয়, আমোরীয়, কেনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় এবং যিবূষীয়দের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলবে।
18. তা না করলে তারা তাদের দেব-দেবীর পূজা করবার সময়ে যে সব জঘন্য কাজ করে তা তোমরাও শিখবে আর তাতে তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র বিরুদ্ধে গুনাহ্ করবে।
19. “তোমরা অনেক দিন ধরে যখন কোন গ্রাম বা শহর ঘেরাও করে রেখে তা দখল করবার জন্য যুদ্ধ করতে থাকবে তখন কুড়াল দিয়ে সেখানকার কোন গাছ নষ্ট করবে না, কারণ সেগুলোর ফল তোমরা খেতে পারবে। সেগুলো তোমরা কেটে ফেলবে না। মাঠের সেই গাছগুলো তো আর মানুষ নয় যে, সেগুলোর উপর তোমাদের হামলা করতে হবে।
20. তবে যেগুলো ফলের গাছ নয় বলে তোমাদের জানা থাকবে সেগুলো তোমরা কেটে ফেলতে পারবে এবং যে জায়গার লোকেরা তোমাদের সংগে যুদ্ধ করছে তারা হেরে না যাওয়া পর্যন্ত সেই গাছগুলো তোমরা হামলা করবার কাজে ব্যবহার করতে পারবে।