4. তারপর তিনি আমাকে তোমাদের বলতে বললেন, ‘তোমাদের ভাই সেয়ীরের বাসিন্দা ইসের বংশধরদের রাজ্যের মধ্য দিয়ে এখন তোমাদের যেতে হবে। তোমাদের দেখে তারা ভয় পাবে কিন্তু তোমরা খুব সাবধান থেকো।
5. তোমরা ইসের বংশধরদের যুদ্ধের উসকানি দেবে না, কারণ আমি তাদের দেশের কোন অংশই তোমাদের দেব না, এমন কি, পা রাখবার জায়গা পর্যন্ত না। আমি সেয়ীরের এই পাহাড়ী এলাকা ইস্কে তার নিজের দেশ হিসাবে দিয়েছি।
6. তাদের কাছ থেকে খাবার ও পানি তোমাদের টাকা দিয়ে কিনে খেতে হবে।’
7. “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ সব কাজেই তোমাদের দোয়া করেছেন। এই মস্ত বড় মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাবার সময়ে তিনি তোমাদের দেখাশোনা করেছেন। এই চল্লিশটা বছর তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের সংগেই থেকেছেন আর তোমাদের কোন কিছুর অভাব হয় নি।
8. “কাজেই আমরা আমাদের ভাই সেয়ীরের বাসিন্দা ইসের বংশধরদের ছেড়ে চলে আসলাম। আরবার যে পথটা এলৎ ও ইৎসিয়োন-গেবর থেকে বের হয়ে এসেছে সেই পথ ছেড়ে আমরা মোয়াবের মরুভূমির পথ ধরে চলতে লাগলাম।
9. তারপর মাবুদ আমাকে বললেন, ‘তোমরা মোয়াবীয়দের বিরক্ত কোরো না কিংবা যুদ্ধের উসকানি দিয়ো না, কারণ তাদের দেশের কোন অংশই আমি তোমাদের দেব না। আমি সম্পত্তি হিসাবে আর্ শহরটা লুতের বংশধরদের দিয়েছি।’ ”
10. (আগে এমীয়রা ঐ এলাকায় বাস করত। এমীয় জাতির লোকেরা ছিল শক্তিশালী, সংখ্যায় অনেক এবং অনাকীয়দের মত লম্বা।
11. অনাকীয়দের মত এমীয়দেরও রফায়ীয় বলা হত কিন্তু মোয়াবীয়রা তাদের বলত এমীয়।
12. সেয়ীরে হোরীয়রা বাস করত, কিন্তু পরে ইসের বংশধরেরা তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। মাবুদ সম্পত্তি হিসাবে বনি-ইসরাইলদের যে দেশ দিয়েছিলেন সেখানে তারা যা করেছিল ইসের বংশধরেরাও ঠিক তা-ই করল; তারা হোরীয়দের ধ্বংস করে দিয়ে তাদের জায়গায় নিজেরা বাস করতে লাগল।)
13. “তারপর মাবুদ বললেন, ‘এখন তোমরা উঠে সেরদ উপত্যকা পার হয়ে যাও।’ আর আমরা সেটা পার হয়ে আসলাম।