3. “লোকেরা যে সব গরু-ছাগল-ভেড়া কোরবানী দেবে সেগুলোর কাঁধ, চোয়ালের গোশ্ত এবং পাকস্থলী তারা ইমামকে দেবে; এগুলো হবে ইমামের পাওনা।
4. তোমাদের প্রথমে তোলা ফসল, নতুন আংগুর-রস ও তেল আর ছাগল-ভেড়ার গা থেকে প্রথমবার কেটে নেওয়া লোম তোমরা ইমামদের দেবে,
5. কারণ তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্য থেকে লেবীয়দের এবং তাদের বংশধরদের বেছে নিয়েছেন, যেন তারা সব সময় মাবুদের নামে এবাদত-কাজ করতে পারে।
6. “ইসরাইলীয়দের দেশের কোন লেবীয় যদি তার বাসস্থান ছেড়ে সত্যিকারের ইচ্ছা নিয়ে মাবুদের বেছে নেওয়া জায়গায় যায়,
7. তবে অন্যান্য লেবীয় ভাইদের মত সে-ও সেখানে তার মাবুদ আল্লাহ্র নামে এবাদত-কাজ করতে পারবে।
8. তার পিতার রেখে যাওয়া জিনিসপত্র বিক্রি করে টাকা পেলেও সেখানকার লেবীয়দের সংগে সে সমান ভাগের অধিকারী হবে।
9. “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের যে দেশ দিতে যাচ্ছেন সেখানে গিয়ে সেখানকার জাতিগুলো যে সব জঘন্য কাজ করে তোমরা তা করতে শিখবে না।
10. তোমাদের মধ্যে যেন এমন কোন লোক না থাকে যে তার নিজের সন্তানকে আগুনে পুড়িয়ে কোরবানী করে, যে গোণাপড়া করে কিংবা মায়াবিদ্যা খাটায় কিংবা লক্ষণ দেখে ভবিষ্যতের কথা বলে, যে জাদু করে,
11. যে মন্ত্রতন্ত্র খাটায়, যে ভূতের মাধ্যম হয়, যে ভূতের সংগে সম্বন্ধ রাখে এবং যে মৃত লোকের সংগে যোগাযোগ রাখে।
12. এই সব কাজ যে করে মাবুদ তাকে জঘন্য মনে করেন। এই সব জঘন্য কাজের জন্যই তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ ঐ সব জাতি তোমাদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেবেন।
13. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র সামনে তোমাদের নির্দোষ থাকতে হবে।
14. “তোমরা যে সব জাতিদের বেদখল করবে তারা মায়াবিদ্যা ব্যবহারকারী ও গণকদের কথায় কান দেয়, কিন্তু তোমাদের বেলায় এই সব ব্যাপারে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র নিষেধ রয়েছে।
15. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের মধ্য থেকে, তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকেই তোমাদের জন্য আমার মত একজন নবী দাঁড় করাবেন। তাঁর কথামত তোমাদের চলতে হবে।
16. তুর পাহাড়ের কাছে যেদিন তোমরা সবাই মাবুদের সামনে জমায়েত হয়েছিলে সেই দিন তোমরা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র কাছে তা-ই চেয়েছিলে। তোমরা বলেছিলে, ‘আর আমরা আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র কথা শুনতে কিংবা এই মহান আগুন দেখতে চাই না; তা হলে আমরা মারা যাব।’