9. তোমরা তখন সেই সময়কার বিচারক এবং লেবীয়দের মধ্যে যারা ইমাম তাদের কাছে যাবে। তোমরা বিষয়টা তাদের বুঝিয়ে বলবে আর তারাই তোমাদের সেই বিচারের রায় দেবে।
10. মাবুদের বেছে নেওয়া জায়গাতে তারা তোমাদের কাছে যে রায় জানাবে তোমরা তা কাজে লাগাবে। তবে সাবধান, তারা তোমাদের যা যা করতে বলবে তার কোনটাই তোমরা বাদ দেবে না।
11. তারা শরীয়ত সম্বন্ধে তোমাদের যা শিক্ষা দেবে এবং যে রায় দেবে সেই মতই তোমরা কাজ করবে। তারা তোমাদের যা করতে বলবে তোমরা ঠিক তা-ই করবে, এদিক ওদিক করবে না।
12. যদি কোন লোক অহংকারের বশে সেই বিচারকের কথা কিংবা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র খেদমতকারী সেই ইমামের কথা শুনতে রাজী না হয়, তবে তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে। তোমরা বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে এই রকমের খারাপী শেষ করে দেবে।
13. তাহলে সমস্ত লোক সেই কথা শুনে ভয় পাবে এবং এই রকম অহংকারের ভাব আর দেখাবে না।
14. “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে দেশটা তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেখানে গিয়ে তা দখল করে যখন তোমরা সেখানে বাস করতে থাকবে এবং বলবে, ‘আমাদের আশেপাশের জাতিগুলোর মত এস, আমরা আমাদের জন্য একজনকে বাদশাহ্ হিসাবে বেছে নিই,’
15. তখন তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যাকে ঠিক করে দেবেন তাকেই তোমরা তোমাদের বাদশাহ্ করবে। সে যেন তোমাদের ইসরাইলীয় ভাইদের মধ্যে একজন হয়। যে তোমাদের ইসরাইলীয় ভাই নয় এমন ভিন্ন জাতির কোন লোককে তোমরা তোমাদের বাদশাহ্ করবে না।
16. সেই বাদশাহ্ যেন নিজের জন্য অনেক ঘোড়া জোগাড় করবার দিকে মন না দেয় এবং তার পরে আরও ঘোড়া জোগাড় করবার জন্য বনি-ইসরাইলদের মিসর দেশে না পাঠায়, কারণ মাবুদ তোমাদের বলেছেন, ‘তোমরা ঐ পথে আর ফিরে যাবে না।’
17. সে যেন অনেক বিয়ে না করে; তাতে তার মন বিপথে যাবে। সে যেন নিজের জন্য অতিরিক্ত সোনা ও রূপা জড়ো না করে।
18. “লেবীয়দের মধ্যে যারা ইমাম তাদের কাছে শরীয়তের যে কিতাব আছে সিংহাসনে বসবার সময় তাকে সেই কিতাব থেকে তার নিজের জন্য সব শরীয়ত একটি বইয়ে লিখে নিতে হবে।
19. সেটা তার কাছেই থাকবে এবং সারা জীবন তাকে তা পড়তে হবে যাতে সে তার মাবুদ আল্লাহ্কে ভয় করতে শেখে এবং এই শরীয়ত ও নিয়মের কথাগুলো মেনে চলে।