8. তোমাদের হাত যেন খোলা থাকে; তার দরকার মত তাকে অবশ্যই ধার দেবে।
9. সাবধান, তোমাদের মনে এই খারাপ চিন্তাকে আমল দিয়ো না যে, সপ্তম বছর, অর্থাৎ ঋণ মাফের বছর প্রায় এসে গেছে। এই চিন্তা করে তোমাদের সেই অভাবী ভাইয়ের প্রতি বিরুদ্ধ মনোভাব নিয়ে তাকে খালি হাতে বিদায় কোরো না। যদি তা কর তবে তা নিয়ে সে তোমাদের বিরুদ্ধে মাবুদের কাছে কাতর হয়ে বিচার চাইবে আর তোমরা অন্যায়ের জন্য দোষী হবে।
10. মনে অনিচ্ছার ভাব না রেখে খোলা হাতে তাকে দেবে; তাহলে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের সব কাজে দোয়া করবেন এবং তোমরা যাতে হাত দেবে তাতেই দোয়া পাবে।
11. গরীব লোক অবশ্য দেশে সব সময়ই থাকবে। সেইজন্য আমি তোমাদের এই হুকুম দিচ্ছি যে, তোমাদের ভাইদের প্রতি এবং দেশের গরীব ও অভাবী লোকদের প্রতি তোমাদের হাত যেন খোলা থাকে।
12. “যদি কোন ইবরানী পুরুষ বা স্ত্রীলোককে তোমাদের কাছে বিক্রি করা হয়, তবে ছয় বছর কাজ করবার পরে সপ্তম বছরে তাকে অবশ্যই তোমাদের ছেড়ে দিতে হবে।
13. ছেড়ে দেবার সময়ে তাকে খালি হাতে বিদায় করবে না।
14. তোমরা তাকে খোলা হাতে তোমাদের পাল থেকে ছাগল ও ভেড়া, খামার থেকে শস্য এবং আংগুর মাড়াইয়ের জায়গা থেকে আংগুর-রস দেবে। তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের যে পরিমাণে দোয়া করেছেন তোমরা সেই পরিমাণেই তাকে দেবে।
15. মনে রেখো, মিসর দেশে তোমরাও গোলাম ছিলে এবং তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের মুক্ত করেছেন। সেইজন্য আজ আমি তোমাদের এই হুকুম দিচ্ছি।
16. “কিন্তু তোমাদের ও তোমাদের পরিবারের লোকদের প্রতি ভালবাসার দরুন এবং তোমাদের কাছে সুখে আছে বলে যদি সেই গোলাম জানায় যে, সে তোমাদের ছেড়ে যাবে না,
17. তবে তোমরা তার কানের লতি দরজার উপর রেখে তুরপুণ দিয়ে ছেঁদা করে দেবে; তাতে সে সারা জীবন তোমাদের গোলাম হয়ে থাকবে। তোমাদের বাঁদীর বেলায়ও তা-ই করবে।
18. “গোলাম কিংবা বাঁদীকে মুক্ত করে দেওয়াটা তোমার কোন কষ্টের ব্যাপার বলে মনে কোরো না, কারণ এই ছয় বছর সে তোমাদের জন্য যে কাজ করেছে তার দাম দু’জন মজুরের মজুরির সমান। তাদের মুক্ত করে দিলে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের সব কিছুতে দোয়া করবেন।
19. “তোমাদের গরু-ভেড়া ও ছাগলের প্রত্যেকটা প্রথম পুরুষ বাচ্চা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে আলাদা করে রাখবে। তোমাদের গরুর প্রথম বাচ্চাকে কাজে লাগাবে না এবং ছাগল ও ভেড়ার প্রথম বাচ্চার লোম কাটবে না।
20. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র বেছে নেওয়া জায়গায় প্রত্যেক বছর তোমরা তোমাদের পরিবার নিয়ে তাঁর সামনে সেগুলোর গোশ্ত খাবে।
21. কিন্তু সেই সব পশুর কোনটার যদি কোন খুঁত থাকে, অর্থাৎ যদি সেটা খোঁড়া কিংবা অন্ধ হয় কিংবা তার গায়ে আর কোন বড় রকমের দোষ থাকে, তবে সেটা তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে কোরবানী দেবে না।
22. সেটা তোমরা নিজের জায়গাতেই খাবে। পাক-নাপাক যে কোন লোকই তা কৃষ্ণসার বা হরিণের গোশ্তের মতই খেতে পারবে।
23. কিন্তু তোমরা তার রক্ত খাবে না; পানির মত করে তা মাটিতে ঢেলে দেবে।