1. “প্রতি সপ্তম বছরের শেষে অন্যদের কাছ থেকে তোমাদের পাওনা সব মাফ করে দেবে।
2. এই নিয়মে তা মাফ করতে হবে: প্রত্যেক ইসরাইলীয় পাওনাদার অন্য ইসরাইলীয়কে দেওয়া সব ঋণ মাফ করে দেবে। ঋণ মাফ করে দেবার জন্য মাবুদ যে সময় ঠিক করে দিয়েছেন তা ঘোষণা করা হয়েছে বলে কোন ইসরাইলীয় ভাইয়ের কাছ থেকে ঋণ শোধের দাবি করা চলবে না।
3. ভিন্ন জাতির লোকদের কাছ থেকে ঋণ শোধের দাবি করা চলবে, কিন্তু তোমাদের ভাইদের ঋণ তোমাদের মাফ করে দিতে হবে।
6. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তাঁর ওয়াদা অনুসারে তোমাদের দোয়া করবেন, আর তাতে তোমরা অনেক জাতির লোককে ঋণ দেবে, কিন্তু কারও কাছ থেকে তোমাদের ঋণ নিতে হবে না। তোমরা অনেক জাতিকে শাসন করবে কিন্তু কেউ তোমাদের শাসন করবে না।
7. “তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ যে দেশ তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেই দেশের কোন জায়গায় যদি তোমাদের ভাইদের মধ্যে কেউ গরীব থাকে, তবে তার উপর তোমাদের দিল কঠিন কোরো না, কিংবা সেই গরীব ভাইয়ের জন্য তোমাদের হাত মুঠো করে রেখো না।
8. তোমাদের হাত যেন খোলা থাকে; তার দরকার মত তাকে অবশ্যই ধার দেবে।
9. সাবধান, তোমাদের মনে এই খারাপ চিন্তাকে আমল দিয়ো না যে, সপ্তম বছর, অর্থাৎ ঋণ মাফের বছর প্রায় এসে গেছে। এই চিন্তা করে তোমাদের সেই অভাবী ভাইয়ের প্রতি বিরুদ্ধ মনোভাব নিয়ে তাকে খালি হাতে বিদায় কোরো না। যদি তা কর তবে তা নিয়ে সে তোমাদের বিরুদ্ধে মাবুদের কাছে কাতর হয়ে বিচার চাইবে আর তোমরা অন্যায়ের জন্য দোষী হবে।
10. মনে অনিচ্ছার ভাব না রেখে খোলা হাতে তাকে দেবে; তাহলে তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের সব কাজে দোয়া করবেন এবং তোমরা যাতে হাত দেবে তাতেই দোয়া পাবে।
11. গরীব লোক অবশ্য দেশে সব সময়ই থাকবে। সেইজন্য আমি তোমাদের এই হুকুম দিচ্ছি যে, তোমাদের ভাইদের প্রতি এবং দেশের গরীব ও অভাবী লোকদের প্রতি তোমাদের হাত যেন খোলা থাকে।
12. “যদি কোন ইবরানী পুরুষ বা স্ত্রীলোককে তোমাদের কাছে বিক্রি করা হয়, তবে ছয় বছর কাজ করবার পরে সপ্তম বছরে তাকে অবশ্যই তোমাদের ছেড়ে দিতে হবে।