9. “সেই সময় আমি তোমাদের বলেছিলাম, ‘আমার একার পক্ষে তোমাদের বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
10. তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের লোকসংখ্যা এত বাড়িয়ে দিয়েছেন যে, আজকে তোমরা আসমানের তারার মত অসংখ্য হয়ে উঠেছ।
11. তোমাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের সংখ্যা আরও হাজার গুণ বাড়িয়ে দিন এবং তাঁর ওয়াদা অনুসারেই তিনি তোমাদের দোয়া করুন।
12. কিন্তু আমি একা কি করে তোমাদের সব ঝগড়া-বিবাদ মিটাবার ভার ও বোঝা বহন করব?
13. তোমরা তোমাদের প্রত্যেকটা গোষ্ঠী থেকে কয়েকজন করে জ্ঞানবান, বুদ্ধিমান ও অভিজ্ঞ লোক বেছে নাও; আমি তাদের উপর তোমাদের দেখাশোনার ভার দেব।’
14. “তোমরা তার জবাবে বলেছিলে, ‘আপনি যা বলছেন তা-ই করা ভাল।’
15. সেইজন্য আমি তোমাদের গোষ্ঠীগুলো থেকে জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ সর্দারদের নিয়ে তোমাদের উপরে হাজারপতি, শতপতি, পঞ্চাশপতি, দশপতি এবং অন্যান্য কর্মচারী নিযুক্ত করেছিলাম।
16. এই সব বিচারকদের তখন আমি বলেছিলাম, ‘তোমরা ঝগড়া-বিবাদের সময়ে দু’পক্ষের কথা শুনে ন্যায়ভাবে বিচার করবে- সেই ঝগড়া ইসরাইলীয় ভাইদের মধ্যেই হোক কিংবা ইসরাইলীয় এবং ভিন্ন জাতির লোকদের মধ্যেই হোক।
17. বিচারের ব্যাপারে তোমরা কারও পক্ষ নেবে না এবং বড়-ছোট সবার কথাই শুনবে। বিচারের কাজটা আসলে আল্লাহ্র; তাই কোন মানুষকে তোমরা ভয় করবে না। যদি কোন বিচার তোমাদের কাছে শক্ত বলে মনে হয় তবে তোমরা তা আমার কাছে নিয়ে আসবে, আমি সেই বিচার করব।’
18. তোমাদের যা করতে হবে তা-ও আমি তখন তোমাদের বলে দিয়েছিলাম।
19. “এর পর আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র হুকুমে আমরা হোরেব পাহাড় ছেড়ে আমোরীয়দের পাহাড়ী এলাকার দিকে রওনা হলাম। কত বড় এবং কত ভয়ানক মরুভূমির মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছিল তা তোমরা দেখেছ। এইভাবে আমরা কাদেশ-বর্ণেয়তে গিয়ে পৌঁছালাম।
20. তারপর আমি তোমাদের বললাম, ‘তোমরা আমোরীয়দের পাহাড়ী এলাকাতে এসে গেছ; এটা আমাদের মাবুদ আল্লাহ্ আমাদের দিতে যাচ্ছেন।
21. দেখ, তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র দেওয়া গোটা দেশটাই তোমাদের সামনে রয়েছে। তোমাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র কথামত তোমরা গিয়ে দেশটা দখল কর। তোমরা ভয় কোরো না, নিরাশও হয়ো না।’
22. “তখন তোমরা সবাই এসে আমাকে বললে, ‘কয়েকজন লোককে আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হোক, যাতে তারা দেশটা দেখে এসে আমাদের বলতে পারে কোন্ পথে আমাদের সেখানে যেতে হবে এবং কোন্ কোন্ শহর আমাদের সামনে পড়বে।’