2. আংগুর-রস খেতে খেতে বেল্শৎসর হুকুম দিলেন, তাঁর নানা বখতে-নাসার জেরুজালেমের বায়তুল-মোকাদ্দস থেকে যে সব সোনা ও রূপার পাত্র এনেছিলেন সেগুলো যেন আনা হয় যাতে বাদশাহ্, তাঁর প্রধান লোকেরা, তাঁর স্ত্রীরা ও তাঁর উপস্ত্রীরা সেই সব পাত্রে করে আংগুর-রস খেতে পারেন।
3. তখন আল্লাহ্র ঘর থেকে যে সব সোনার পাত্র নিয়ে আসা হয়েছিল সেগুলো আনা হলে পর বাদশাহ্, তাঁর প্রধান লোকেরা, তাঁর স্ত্রীরা ও তাঁর উপস্ত্রীরা তাতে করে আংগুর-রস খেলেন।
4. তাঁরা আংগুর-রস খেতে খেতে সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, লোহা, কাঠ ও পাথরের তৈরী দেব-দেবীদের প্রশংসা করতে লাগলেন।
5. তখন হঠাৎ মানুষের একটা হাত এসে রাজবাড়ীর মধ্যে বাতিদানের কাছে দেয়ালের উপর লিখতে লাগল। লিখবার সময় বাদশাহ্ সেই হাতখানা দেখতে পেলেন।
6. তাঁর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল এবং তিনি এত ভয় পেলেন যে, তাঁর কোমর দুর্বল হয়ে গেল এবং হাঁটু কাঁপতে লাগল।
7. তখন বাদশাহ্ জোরে ডাক দিয়ে ভূতের ওঝা, জ্যোতিষী ও গণকদের নিয়ে আসতে বললেন। তিনি ব্যাবিলনের সেই পরামর্শদাতাদের বললেন, “যে কেউ এই লেখা পড়ে তার মানে আমাকে বলে দিতে পারবে তাকে বেগুনে কাপড় পরানো হবে ও গলায় সোনার হার দেওয়া হবে আর তাকে রাজ্যের তিনজন বাদশাহ্র মধ্যে একজনের পদ দেওয়া হবে।”
8. বাদশাহ্র সেই সব পরামর্শদাতারা ভিতরে আসল, কিন্তু তারা সেই লেখা পড়তে কিংবা বাদশাহ্কে তার অর্থ বলতে পারল না।
9. তখন বাদশাহ্ বেল্শৎসর আরও ভয় পেলেন এবং তাঁর মুখ আরও ফ্যাকাশে হল। তাঁর প্রধান লোকেরা হতভম্ব হয়ে গেলেন।
10. বাদশাহ্ ও তাঁর প্রধান লোকদের কথা শুনে রাণীমা সেই মেজবানীর ঘরে এসে বললেন, “হে মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন। আপনি ভয় পাবেন না, আপনার মুখ এত ফ্যাকাশে হতে দেবেন না।
11. আপনার রাজ্যের মধ্যে একজন লোক আছেন যাঁর ভিতরে পবিত্র এমন কিছু আছে যা এই দুনিয়ার নয়। আপনার নানা বখতে-নাসারের সময়ে সেই লোকের মধ্যে বুঝবার শক্তি, বুদ্ধি ও দেবতাদের মত জ্ঞান দেখা গিয়েছিল। আপনার নানা বাদশাহ্ বখতে-নাসার তাঁকে জাদুকর, ভূতের ওঝা, জ্যোতিষী ও গণকদের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন।