5. আপনারা যখনই শিংগা, বাঁশী, সুরবাহার, ছোট ও বড় বীণা, বড় বাঁশী ও অন্যান্য সব রকম বাজনার শব্দ শুনবেন তখনই মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বাদশাহ্ বখতে-নাসারের স্থাপন করা সোনার মূর্তিকে সেজদা করবেন।
6. যে কেউ উবুড় হয়ে পড়ে সেজদা করবে না তাকে তখনই জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হবে।”
7. কাজেই যখনই তারা সেই সব বাজনার শব্দ শুনল তখনই সব জাতির, দেশের ও ভাষার লোকেরা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বখতে-নাসারের স্থাপন করা সোনার মূর্তিকে সেজদা করল।
8. এই সময় কয়েকজন জ্যোতিষী এগিয়ে গিয়ে ইহুদীদের দোষী করল।
9. তারা বাদশাহ্ বখতে-নাসারকে বলল, “হে মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন।
10. আপনি একটা হুকুম দিয়েছেন যে, লোকেরা যখন শিংগা, বাঁশী, সুরবাহার, ছোট ও বড় বীণা, বড় বাঁশী ও অন্যান্য সব রকম বাজনার শব্দ শুনবে তখন তাদের উবুড় হয়ে পড়ে সোনার মূর্তিকে সেজদা করতে হবে;
11. কিন্তু যে উবুড় হয়ে পড়ে সেজদা করবে না তাকে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হবে।
12. হে মহারাজ, এমন কয়েকজন ইহুদী আছে যাদের আপনি ব্যাবিলন প্রদেশের রাজ-কাজে নিযুক্ত করেছেন; তারা হল শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো। তারা আপনার হুকুমে কান দেয় নি। তারা আপনার দেবতাদের সেবা করে না এবং আপনি যে সোনার মূর্তি স্থাপন করেছেন তাঁকেও সেজদা করে না।”
13. এই কথা শুনে বখতে-নাসার রাগে আগুন হয়ে শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগোকে ডেকে পাঠালেন। তখন বাদশাহ্র সামনে সেই লোকদের নিয়ে আসা হল।
14. বখতে-নাসার তাঁদের বললেন, “হে শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো, এ কি সত্যি যে, তোমরা আমার দেবতাদের সেবা কর না এবং আমি যে সোনার মূর্তি স্থাপন করেছি তাঁকেও সেজদা কর না?
15. এখন তোমরা যদি শিংগা, বাঁশী, সুরবাহার, ছোট ও বড় বীণা, বড় বাঁশী ও অন্যান্য সব রকম বাজনার শব্দ শুনে উবুড় হয়ে পড়ে আমার তৈরী মূর্তিকে সেজদা করতে প্রস্তুত থাক তাহলে তো ভাল। কিন্তু যদি সেজদা না কর তবে জ্বলন্ত চুল্লীতে তখনই তোমাদের ফেলে দেওয়া হবে। তখন কোন্ দেবতা আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করতে পারবে?”
16. তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদ্-নগো জবাবে বাদশাহ্কে বললেন, “হে মহারাজ বখতে-নাসার, এই ব্যাপারে আপনাকে জবাব দেবার কোন দরকার আমরা মনে করি না।
17. আমরা যে আল্লাহ্র এবাদত করি তিনি যদি চান তবে সেই জ্বলন্ত চুল্লী থেকে ও আপনার হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করবেন।