1. এহুদার বাদশাহ্ যিহোয়াকীমের রাজত্বের তৃতীয় বছরের সময় ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার জেরুজালেমে এসে শহরটা ঘেরাও করলেন।
2. দীন-দুনিয়ার মালিক তাঁর হাতে এহুদার বাদশাহ্ যিহোয়াকীমকে তুলে দিলেন এবং তাঁর সংগে আল্লাহ্র ঘরের কতগুলো পাত্রও তুলে দিলেন। তিনি সেই পাত্রগুলো ব্যাবিলনে তাঁর দেবতার মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সেখানকার ধনভাণ্ডারে রেখে দিলেন।
3. পরে বাদশাহ্ তাঁর প্রধান রাজকর্মচারী অসপনস্কে হুকুম দিলেন যেন তিনি ইসরাইলীয় রাজপরিবার ও সম্মানিত পরিবারগুলোর মধ্য থেকে কয়েকজন যুবককে নিয়ে আসেন।
4. সেই যুবকদের হতে হবে নিখুঁত, সুন্দর, জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান, সমস্ত শিক্ষা গ্রহণে চট্পটে এবং রাজ-দরবারের কাজ করবার যোগ্য। অসপনস্কে হুকুম দেওয়া হল যেন তিনি এই যুবকদের ব্যাবিলনীয়দের ভাষা ও সাহিত্য সম্বন্ধে শিক্ষা দেন।
5. বাদশাহ্ তাঁর খাবার থেকে তাদের প্রতিদিনের পরিমাণ মত খাবার ও আংগুর-রস দেবার নির্দেশ দিলেন। এইভাবে তাদের তিন বছর শিক্ষা দেবার পরে তারা বাদশাহ্র কাজে নিযুক্ত হবে।
6. এদের মধ্যে ছিলেন এহুদা-গোষ্ঠীর দানিয়াল, হনানিয়, মীশায়েল ও অসরিয়।
7. সেই প্রধান রাজকর্মচারী তাঁদের নতুন নাম রাখলেন; তিনি দানিয়ালকে বেল্টশৎসর, হনানিয়কে শদ্রক, মীশায়েলকে মৈশক ও অসরিয়কে অবেদ্-নগো নাম দিলেন।
8. দানিয়াল কিন্তু মনে মনে ঠিক করলেন যে, তিনি বাদশাহ্র খাবার ও আংগুর-রস দিয়ে নিজেকে নাপাক করবেন না। এইভাবে যাতে নিজেকে নাপাক করতে না হয় সেইজন্য তিনি প্রধান রাজকর্মচারীর কাছে অনুমতি চাইলেন।
9. আল্লাহ্ সেই রাজকর্মচারীর মনে দানিয়ালের জন্য দয়া ও মমতা দিলেন।
10. তবে সেই রাজকর্মচারী দানিয়ালকে বললেন, “যিনি তোমাদের খাবার ও আংগুর-রসের ব্যবস্থা করেছেন আমি আমার সেই প্রভু মহারাজকে ভয় করি। তিনি তোমাদের বয়সী অন্য যুবকদের চেয়ে কেন তোমাদের রোগা দেখবেন? এতে বাদশাহ্ তোমাদের দরুন আমার মাথা কেটে ফেলতে পারেন।”