3. আমি সকলের কাছে আবার এই সাক্ষ্য দিচ্ছি, যাকে খৎনা করানো হয় সে সমস্ত শরীয়ত পালন করতে বাধ্য।
4. তোমরা যারা শরীয়ত পালন করে আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হতে চাইছ তোমরা তো মসীহের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেছ, আল্লাহ্র রহমত থেকে সরে গেছ।
5. কিন্তু আমাদের যে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে, সেই নিশ্চয়তায় ঈমানের দ্বারা পাক-রূহের মধ্য দিয়ে আমরা অপেক্ষা করে আছি;
6. কারণ যারা মসীহ্ ঈসার, তাদের কাছে খৎনা করানো বা না করানোর কোন দাম নেই, বরং যে ঈমান মহব্বতের মধ্য দিয়ে কাজ করে সেই ঈমানই আসল জিনিস।
7. তোমরা তো বেশ ভালভাবেই চলছিলে; তবে সত্যের বাধ্য হতে কে তোমাদের বাধা দিল?
8. যে মতামত তোমরা মেনে নিয়েছ, যিনি তোমাদের ডেকেছেন সেই আল্লাহ্র কাছ থেকে তা আসে নি।
9. একটুখানি খামি একটা গোটা ময়দার তালকে ফাঁপিয়ে তোলে।
10. তোমাদের সম্বন্ধে প্রভুর উপর আমার এই বিশ্বাস আছে যে, তোমরা আর অন্য কোন মতামত গ্রহণ করবে না। কিন্তু যে তোমাদের স্থির থাকতে দিচ্ছে না, সে যে-ই হোক না কেন, সে তার পাওনা শাস্তি ভোগ করবে।
11. ভাইয়েরা, যদি আমি এখনও তবলিগ করি যে, লোকদের খৎনা করানো উচিত তবে কেন আমাকে এখনও জুলুম করা হচ্ছে? ক্রুশের উপর মসীহের মৃত্যুর বাধা তো তাহলে দূর হয়ে গেছে।
12. যারা তোমাদের গোলমালে ফেলছে, আমি চাই তারা যেন নিজেদের একেবারে খোজা-ই করে ফেলে।
13. ভাইয়েরা, স্বাধীন হবার জন্যই তো আল্লাহ্ তোমাদের ডেকেছেন। কিন্তু তোমাদের গুনাহ্-স্বভাবের ইচ্ছাগুলো পূর্ণ করবার জন্য এই স্বাধীনতা ব্যবহার কোরো না। তার চেয়ে বরং মহব্বতের মনোভাব নিয়ে একে অন্যের সেবা কর,
14. কারণ সমস্ত শরীয়ত মিলিয়ে এক কথায় বলা হয়েছে, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করবে।”
15. কিন্তু যদি তোমরা একে অন্যের সংগে ঝগড়াঝাঁটি ও হিংসাহিংসি কর তবে সাবধান! এই রকম করলে তোমরা তো একে অন্যকে ধ্বংস করে ফেলবে।
16. আমি যা বলছি তা এই- তোমরা পাক-রূহের অধীনে চলাফেরা কর। তা করলে তোমরা গুনাহ্-স্বভাবের ইচ্ছা পূর্ণ করবে না।
17. গুনাহ্-স্বভাব যা চায় তা পাক-রূহের বিরুদ্ধে এবং পাক-রূহ্ যা চান তা গুনাহ্-স্বভাবের বিরুদ্ধে। গুনাহ্-স্বভাব ও পাক-রূহ্ একে অন্যের বিরুদ্ধে বলে তোমরা যা করতে চাও তা কর না।
18. তোমরা যদি পাক-রূহের দ্বারাই পরিচালিত হও তবে তোমরা শরীয়তের অধীনে নও।