11. ভাইয়েরা, যদি আমি এখনও তবলিগ করি যে, লোকদের খৎনা করানো উচিত তবে কেন আমাকে এখনও জুলুম করা হচ্ছে? ক্রুশের উপর মসীহের মৃত্যুর বাধা তো তাহলে দূর হয়ে গেছে।
12. যারা তোমাদের গোলমালে ফেলছে, আমি চাই তারা যেন নিজেদের একেবারে খোজা-ই করে ফেলে।
13. ভাইয়েরা, স্বাধীন হবার জন্যই তো আল্লাহ্ তোমাদের ডেকেছেন। কিন্তু তোমাদের গুনাহ্-স্বভাবের ইচ্ছাগুলো পূর্ণ করবার জন্য এই স্বাধীনতা ব্যবহার কোরো না। তার চেয়ে বরং মহব্বতের মনোভাব নিয়ে একে অন্যের সেবা কর,
14. কারণ সমস্ত শরীয়ত মিলিয়ে এক কথায় বলা হয়েছে, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করবে।”
15. কিন্তু যদি তোমরা একে অন্যের সংগে ঝগড়াঝাঁটি ও হিংসাহিংসি কর তবে সাবধান! এই রকম করলে তোমরা তো একে অন্যকে ধ্বংস করে ফেলবে।
16. আমি যা বলছি তা এই- তোমরা পাক-রূহের অধীনে চলাফেরা কর। তা করলে তোমরা গুনাহ্-স্বভাবের ইচ্ছা পূর্ণ করবে না।
17. গুনাহ্-স্বভাব যা চায় তা পাক-রূহের বিরুদ্ধে এবং পাক-রূহ্ যা চান তা গুনাহ্-স্বভাবের বিরুদ্ধে। গুনাহ্-স্বভাব ও পাক-রূহ্ একে অন্যের বিরুদ্ধে বলে তোমরা যা করতে চাও তা কর না।
18. তোমরা যদি পাক-রূহের দ্বারাই পরিচালিত হও তবে তোমরা শরীয়তের অধীনে নও।
19. গুনাহ্-স্বভাবের কাজগুলো স্পষ্টই দেখা যায়। সেগুলো হল- জেনা, নাপাকী, লমপটতা,
20. মূর্তিপূজা, জাদুবিদ্যা, শত্রুতা, ঝগড়া, লোভ, রাগ, স্বার্থপরতা, অমিল, দলাদলি,
21. হিংসা, মাতলামি, হৈ-হল্লা করে মদ খাওয়া, আর এই রকম আরও অনেক কিছু। আমি যেমন এর আগে তোমাদের সতর্ক করেছিলাম এখনও তা-ই করে বলছি, যারা এই রকম কাজ করে আল্লাহ্র রাজ্যে তাদের জায়গা হবে না।
22. কিন্তু পাক-রূহের ফল হল- মহব্বত, আনন্দ, শান্তি, সহ্যগুণ, দয়ার স্বভাব, ভাল স্বভাব, বিশ্বস্ততা,
23. নম্রতা ও নিজেকে দমন। এই সবের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই।
24. যারা মসীহ্ ঈসার, তারা তাদের গুনাহ্-স্বভাবকে তার সমস্ত কামনা-বাসনা সুদ্ধ ক্রুশে দিয়ে শেষ করে ফেলেছে।
25. যদি আমরা পাক-রূহের মধ্য দিয়ে জীবন পেয়ে থাকি তবে এস, আমরা পাক-রূহের অধীনেই চলাফেরা করি।