1. আমার কথার অর্থ এই- বাবার সব কিছুর উপর সন্তানের অধিকার থাকলেও যতদিন সে নাবালক থাকে ততদিন তার এবং গোলামের মধ্যে কোন তফাৎ থাকে না।
2. তার পিতা যে সময় ঠিক করে দেন সেই সময় পর্যন্ত তাকে অভিভাবক ও ভারপ্রাপ্ত লোকদের অধীনে থাকতে হয়।
3. সেই একইভাবে আমরাও যখন ছোট ছিলাম তখন দুনিয়ার নানা রীতিনীতির গোলাম ছিলাম।
4. কিন্তু সময় পূর্ণ হলে পর আল্লাহ্ তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে দিলেন। সেই পুত্র স্ত্রীলোকের গর্ভে জন্মগ্রহণ করলেন এবং শরীয়তের অধীনে জীবন কাটালেন,
5. যেন শরীয়তের অধীনে থাকা লোকদের তিনি মুক্ত করতে পারেন, আর আল্লাহ্র সন্তান হিসাবে আমাদের গ্রহণ করতে পারেন।
6. তোমরা সন্তান বলেই আল্লাহ্ তাঁর পুত্রের রূহ্কে তোমাদের দিলে থাকবার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই রূহ্ আল্লাহ্কে আব্বা, অর্থাৎ পিতা বলে ডাকেন।
7. ফলে তোমরা আর গোলাম নও বরং সন্তান। যদি তোমরা সন্তানই হয়ে থাক তবে আল্লাহ্ যা দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন তোমরা তার অধিকারী।
8. আগে যখন তোমরা আল্লাহ্কে চিনতে না তখন তোমরা যাদের সেবা করতে তারা আসলে কোন দেবতাই নয়।
9. কিন্তু এখন তোমরা আল্লাহ্কে চিনেছ; তার চেয়ে বরং এই কথা বললে ঠিক হবে যে, আল্লাহ্ তোমাদের চিনেছেন। তাহলে কেমন করে তোমরা আবার দুনিয়ার সেই নানা দুর্বল ও নিষ্ফল রীতিনীতির দিকে ফিরছ? তোমরা কি আবার সেই সবের গোলাম হতে চাইছ?
10. তোমরা বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ।
11. তোমাদের জন্য আমার এই ভয় হচ্ছে যে, তোমাদের মধ্যে হয়তো আমি মিথ্যাই পরিশ্রম করেছি।
12. ভাইয়েরা, আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা আমার মত হও, কারণ আমিও তোমাদের মত হয়েছি। তোমরা আমার উপর কোন অন্যায় কর নি।
13. তোমরা জান যে, আমার শরীর অসুস্থ ছিল বলে আমি প্রথম বার তোমাদের কাছে সুসংবাদ তবলিগ করবার সুযোগ পেয়েছিলাম।