2. আমি কেবল তোমাদের কাছ থেকে জানতে চাই, তোমরা শরীয়ত পালন করে কি পাক-রূহ্কে পেয়েছিলে, না সুসংবাদ শুনে ঈমান এনে পেয়েছিলে?
3. তোমরা কি এতই অবুঝ? পাক-রূহের মধ্য দিয়ে নতুন জীবন শুরু করে কি এখন নিজের চেষ্টায় পূর্ণতা লাভ করতে যাচ্ছ?
4. তোমরা কি মিথ্যাই এত দুঃখভোগ করেছ? আমি আশা করি তোমাদের সেই দুঃখভোগ অনর্থক হয় নি।
5. আল্লাহ্ কেন তোমাদের পাক-রূহ্ দিয়েছেন এবং তোমাদের মধ্যে এত অলৌকিক কাজ করছেন তা ভেবে দেখ। তোমরা শরীয়ত পালন করছ বলেই কি তিনি এই সব করছেন, নাকি সুসংবাদ শুনে ঈমান এনেছ বলে করছেন?
6. ইব্রাহিমের কথা ভেবে দেখ। পাক-কিতাবে লেখা আছে, “ইব্রাহিম আল্লাহ্র কথার উপর ঈমান আনলেন আর আল্লাহ্ সেইজন্য তাঁকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করলেন।”
7. এইজন্য তোমরা এই কথা জেনো, যারা ঈমান আনে কেবল তারাই ইব্রাহিমের বংশধর।
8. পাক-কিতাবে আগেই লেখা হয়েছিল, ঈমানের জন্যই আল্লাহ্ অ-ইহুদীদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করবেন। ইব্রাহিমের কাছে এই কথা বলে আগেই সুসংবাদ জানানো হয়েছিল, “তোমার মধ্য দিয়েই সব জাতি দোয়া পাবে।”
9. তাহলে দেখা যায়, আল্লাহ্র কথার উপর ঈমান এনে ইব্রাহিম যেমন দোয়া পেয়েছিলেন ঠিক তেমনি তাঁর পর থেকে যারা ঈমান আনে তারাও সেই দোয়া পায়।
10. পাক-কিতাবে লেখা আছে, “সেই লোক বদদোয়াপ্রাপ্ত, যে শরীয়তে লেখা প্রত্যেকটি কথা পালন করে না।” তাহলে দেখা যায়, যারা শরীয়ত পালন করবার উপর ভরসা করে তাদের সকলের উপরে এই বদদোয়া রয়েছে।
11. তা ছাড়া এটাও পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে, শরীয়ত পালন করবার জন্য আল্লাহ্ কাউকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন না, কারণ পাক-কিতাবের কথামত, “যাকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয় সে ঈমানের মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।” ঈমানের সংগে শরীয়তের কোন সম্বন্ধ নেই।
12. শরীয়ত বরং বলে, “যে লোক শরীয়ত মতে চলে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”
13. শরীয়ত অমান্য করবার দরুন যে বদদোয়া আমাদের উপর ছিল, মসীহ্ সেই বদদোয়া নিজের উপর নিয়ে আমাদের মুক্ত করেছেন। পাক-কিতাবে এই কথা লেখা আছে, “যাকে গাছে টাংগানো হয় সে বদদোয়াপ্রাপ্ত।”