12. শরীয়ত বরং বলে, “যে লোক শরীয়ত মতে চলে সে তার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”
13. শরীয়ত অমান্য করবার দরুন যে বদদোয়া আমাদের উপর ছিল, মসীহ্ সেই বদদোয়া নিজের উপর নিয়ে আমাদের মুক্ত করেছেন। পাক-কিতাবে এই কথা লেখা আছে, “যাকে গাছে টাংগানো হয় সে বদদোয়াপ্রাপ্ত।”
14. আল্লাহ্ ইব্রাহিমকে যে দোয়া করেছিলেন সেই দোয়া মসীহ্ ঈসার মধ্য দিয়ে যেন অ-ইহুদীরাও পেতে পারে, আর যেন আমরা ঈমানের মধ্য দিয়ে ওয়াদা-করা পাক-রূহ্কে পেতে পারি, সেইজন্যই মসীহ্ সেই বদদোয়া নিজের উপর নিয়েছিলেন।
15. ভাইয়েরা, আমি একটা সাধারণ কথা দিয়ে বিষয়টা বুঝাচ্ছি। একবার যখন মানুষের মধ্যে কোন চুক্তি পাকা করে ফেলা হয় তখন সেই চুক্তি কেউ বাতিল করতে পারে না বা তার সংগে কিছু যোগও দিতে পারে না।
16. ইব্রাহিম ও তাঁর বংশের কাছে আল্লাহ্ ওয়াদা করেছিলেন। পাক-কিতাব বলে নি, “বংশগুলোর কাছে,” অর্থাৎ অনেক বংশের কাছে, বরং বলেছে, “তোমার বংশের কাছে,” অর্থাৎ একটি বংশের কাছে, আর সেই বংশের বংশধর হলেন মসীহ্।
17. আমার কথার মানে হল, আল্লাহ্ ইব্রাহিমের সময়ে একটা ওয়াদাপূর্ণ ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন। তার চারশো ত্রিশ বছর পরে শরীয়ত দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাতে আগের সেই ব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেল না; কাজেই তার ওয়াদা টিকেই রইল।
18. আল্লাহ্র দোয়া পাওয়া যদি শরীয়ত পালনের উপর ভরসা করে তাহলে তো আর ওয়াদার উপর তা ভরসা করছে না। কিন্তু আল্লাহ্ রহমত করে একটা ওয়াদার মধ্য দিয়ে ইব্রাহিমকে দোয়া করেছিলেন।
19. তাহলে শরীয়ত কেন দেওয়া হয়েছিল? মানুষ গুনাহ্ করতে থাকবার দরুন আল্লাহ্র ওয়াদার সংগে শরীয়ত যুক্ত করা হয়েছিল। যাঁর বিষয় আল্লাহ্ ওয়াদা করেছিলেন ইব্রাহিমের সেই বংশধর না আসা পর্যন্ত বহাল থাকবার জন্যই শরীয়ত দেওয়া হয়েছিল। ফেরেশতাদের মধ্য দিয়ে একজন মধ্যসে'র দ্বারা এই শরীয়ত বহাল করা হয়েছিল।
20. কিন্তু কেবল একজন থাকলে মধ্যসে'র দরকার হয় না; আর আল্লাহ্ মাত্র একজনই।
21. তাহলে শরীয়ত কি আল্লাহ্র ওয়াদাগুলোর বিরুদ্ধে? নিশ্চয়ই না। আল্লাহ্ যদি এমন শরীয়ত দিতেন যা জীবন দিতে পারে তবে তা পালনের দ্বারা নিশ্চয় মানুষ আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হত।
22. কিন্তু পাক-কিতাব সব মানুষকেই গুনাহের জন্য দোষী বলে স্থির করেছে, যেন ঈসা মসীহের উপর যারা ঈমান আনে তারা তাদের সেই ঈমানের ফলে ওয়াদা-করা দোয়া পেতে পারে।
23. ঈমান আসবার আগে শরীয়ত আমাদের পাহারা দিয়ে রেখেছিল এবং যতদিন না ঈমান প্রকাশিত হল ততদিন পর্যন্ত আমাদের বন্দী করে রেখেছিল।
24. তাহলে দেখা যায়, মসীহের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য এই শরীয়তই আমাদের পরিচালনাকারী, যেন ঈমানের মধ্য দিয়ে আমাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়।