8. কিন্তু যে সুসংবাদ আমরা তোমাদের কাছে তবলিগ করেছি তা থেকে আলাদা কোন সুসংবাদ যদি তোমাদের কাছে তবলিগ করা হয়, তা আমরা নিজেরাই করি বা কোন ফেরেশতাই করেন, তবে তার উপর বদদোয়া পড়ুক।
9. আমি যেমন আগেও বলেছি তেমনি এখন আবার বলছি, যে সুসংবাদ তোমরা গ্রহণ করেছ তা থেকে আলাদা কোন সুসংবাদ যদি কেউ তবলিগ করে তবে তার উপর বদদোয়া পড়ুক।
10. আমি এতে কার প্রশংসা পাবার চেষ্টা করছি, মানুষের না আল্লাহ্র? না কি মানুষকে সন্তুষ্ট করবার চেষ্টা করছি? আমি যদি এখনও মানুষকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করি তবে তো আমি মসীহের গোলাম নই।
11. ভাইয়েরা, আমি তোমাদের জানাচ্ছি, আমি যে সুসংবাদ তবলিগ করেছি তা কোন মানুষের বানানো কথা নয়।
12. আমি কোন লোকের কাছ থেকে তা পাই নি বা কেউ আমাকে তা শেখায় নি, বরং ঈসা মসীহ্ নিজেই আমার কাছে তা প্রকাশ করেছিলেন।
13. ইহুদী ধর্ম পালন করবার সময় কিভাবে আমি জীবন কাটাতাম তা তো তোমরা শুনেছ। আর তোমরা এও শুনেছ যে, কি ভীষণ ভাবে আমি আল্লাহ্র জামাতের উপরে জুলুম করতাম ও তা ধ্বংস করবার চেষ্টা করতাম।
14. আমার বয়সের অনেক ইহুদীর চেয়েও আমি সেই ধর্মে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এছাড়া আমার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে যে সব নিয়ম চলে আসছে সেই বিষয়েও আমি খুবই উৎসাহী ছিলাম।
15. কিন্তু আল্লাহ্ আমার জন্মের সময় থেকেই আমাকে নিযুক্ত করে রেখেছিলেন এবং তাঁরই রহমতে সাহাবী হবার জন্য তিনি আমাকে ডেকেছিলেন।
16. আমি যেন অ-ইহুদীদের কাছে মসীহের বিষয়ে সুসংবাদ তবলিগ করি, এইজন্য আল্লাহ্ যখন তাঁর ইচ্ছা অনুসারে তাঁর পুুত্রকে আমার কাছে প্রকাশ করলেন তখন আমি কোন লোকের সংগে পরামর্শ করি নি।
17. এমন কি, যাঁরা আমার আগে সাহাবী হয়েছিলেন আমি জেরুজালেমে তাঁদের কাছেও যাই নি। আমি তখন আরব দেশে চলে গিয়েছিলাম এবং পরে আবার দামেস্ক শহরে ফিরে এসেছিলাম।
18. এর তিন বছর পরে আমি প্রথম বার পিতরের সংগে দেখা করবার জন্য জেরুজালেমে গিয়েছিলাম, আর সেখানে তাঁর সংগে পনেরো দিন ছিলাম।
19. তখন প্রভুর ভাই ইয়াকুব ছাড়া অন্য কোন সাহাবীর সংগে আমার দেখা হয় নি।
20. আল্লাহ্ সাক্ষী যে, আমি তোমাদের কাছে যা লিখছি তার কিছুই মিথ্যা নয়।
21. তারপর আমি সিরিয়া ও কিলিকিয়ার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলাম।
22. এহুদিয়ার ঈসায়ী জামাতগুলো আমাকে চিনত না।