7. তখন মাবুদ গিদিয়োনকে বললেন, “যে তিনশো লোক পানি চেটে খেয়েছে তাদের দিয়েই আমি তোমাদের উদ্ধার করব এবং মাদিয়ানীয়দের তোমার হাতে তুলে দেব। অন্য সব লোকেরা যে যার বাড়ীতে চলে যাক।”
8. কাজেই গিদিয়োন তিনশো লোক রেখে বাকী বনি-ইসরাইলদের তাদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিলেন। সমস্ত খাবার জিনিস ও শিংগা ঐ তিনশো লোকের কাছে রইল।মাদিয়ানীয়দের ছাউনি ছিল গিদিয়োনের ছাউনির নীচের উপত্যকার মধ্যে।
9. সেই রাতে মাবুদ গিদিয়োনকে বললেন, “ওঠো, তুমি নেমে গিয়ে ওদের ছাউনিটা হামলা কর। আমি ওটা তোমার হাতে তুলে দিয়েছি।
10. তুমি যদি হামলা করতে ভয় পাও তা হলে তোমার চাকর ফুরাকে সংগে নিয়ে নেমে ওদের ছাউনির কাছে যাও,
11. আর শোন ওরা কি বলে। তাতে তুমি ছাউনিটা হামলা করতে সাহস পাবে।” কাজেই গিদিয়োন তাঁর চাকর ফুরাকে সংগে নিয়ে ছাউনির কিনারার সৈন্যদের কাছে নেমে গেলেন।
12. মাদিয়ানীয়, আমালেকীয় এবং পূর্ব দেশের লোকেরা সেই উপত্যকার মধ্যে পংগপালের ঝাঁকের মত ছিল। তাদের উটগুলো সংখ্যায় ছিল সাগর পারের বালুকণার মত যা গোণা যায় না।
13. গিদিয়োন যখন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলেন তখন একজন লোক তার এক বন্ধুকে তার স্বপ্নের কথা বলছিল। সে বলছিল, “আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি। আমি দেখলাম যবের তৈরী একখানা রুটি যেন গড়াতে গড়াতে গিয়ে মাদিয়ানীয়দের ছাউনির মধ্যে পড়ল। সেটা মাদিয়ানীয়দের তাম্বুতে এত জোরে গিয়ে আঘাত করল যে, তাম্বুটা উল্টে ধ্বসে পড়ে গেল।”
14. এর জবাবে তার বন্ধু বলল, “এটা ইসরাইলীয় যোয়াশের ছেলে গিদিয়োনের তলোয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহ্ মাদিয়ানীয়দের এবং তাদের গোটা ছাউনিটা গিদিয়োনের হাতে তুলে দিয়েছেন।”
15. গিদিয়োন সেই স্বপ্নের কথা ও তার মানে শুনে সেজদায় পড়ে আল্লাহর এবাদত করলেন। তিনি বনি-ইসরাইলদের ছাউনিতে ফিরে এসে জোরে হাঁক দিয়ে বললেন, “তোমরা ওঠ, আল্লাহ্ মাদিয়ানীয়দের ছাউনিটা তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।”
16. সেই তিনশো লোককে তিনি তিনটা দলে ভাগ করলেন আর প্রত্যেকের হাতে একটা করে শিংগা, একটা করে খালি কলসী ও তার মধ্যে মশাল দিলেন।
17. তারপর তিনি তাদের বললেন, “তোমরা আমার উপর লক্ষ্য রাখবে এবং আমি যা করি তোমরাও তা-ই করবে। ছাউনির কাছে পৌঁছে আমি যা করব তোমরা ঠিক তা-ই করবে।
18. আমি ও আমার সংগের সবাই যখন শিংগা বাজাব তখন ছাউনির চারপাশ থেকে তোমরাও তোমাদের শিংগা বাজাবে এবং চিৎকার করে বলবে, ‘মাবুদ এবং গিদিয়োনের জন্য।’ ”