24. তখন গিদিয়োন সেখানে মাবুদের উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করে তার নাম দিলেন ইয়াহ্ওয়েহ্-শালোম (যার মানে “মাবুদই শান্তি”)। কোরবানগাহ্টি এখনও অবীয়েষ্রীয়দের অফ্রাতে আছে।
25. সেই রাতেই মাবুদ গিদিয়োনকে বললেন, “তোমার বাবার গরুর পাল থেকে তুমি দ্বিতীয় ষাঁড়টা নাও যেটার বয়স সাত বছর। তারপর বাল-দেবতার উদ্দেশে যে কোরবানগাহ্টি তোমার বাবা কেল্লার মত জায়গাটার উপরে তৈরী করেছেন সেটা ভেংগে ফেল এবং তার পাশে যে আশেরা-খুঁটি আছে তা কেটে ফেল।
26. তারপর সেই জায়গার উপরে তোমার মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে ভাল করে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী কর। তারপর সেই দ্বিতীয় ষাঁড়টা দিয়ে তোমার কেটে ফেলা ঐ আশেরা-খুঁটির কাঠ জ্বালিয়ে একটা পোড়ানো-কোরবানী দাও।”
27. সেইজন্য গিদিয়োন তাঁর চাকরদের মধ্য থেকে দশজনকে সংগে নিয়ে মাবুদের কথামত কাজ করলেন। কিন্তু নিজের পরিবার ও গ্রামের লোকদের ভয়ে তিনি কাজটা দিনে না করে রাতের বেলায় করলেন।
28. সকালবেলায় গ্রামের লোকেরা ঘুম থেকে উঠে দেখল বাল-দেবতার কোরবানগাহ্টি ভেংগে ফেলা হয়েছে আর তার পাশের আশেরা-খুঁটিটাও কেটে ফেলা হয়েছে এবং একটা নতুন করে তৈরী করা কোরবানগাহের উপরে দ্বিতীয় ষাঁড়টা কোরবানী দেওয়া হয়েছে।
29. তখন তারা একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করল, “এই কাজ কে করেছে?” তারা ভাল করে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারল যে, যোয়াশের ছেলে গিদিয়োন এই সব করেছে।
30. তখন তারা যোয়াশের কাছে গিয়ে বলল, “তোমার ছেলেকে বের করে নিয়ে এস। তাকে মরতে হবে, কারণ সে বাল-দেবতার কোরবানগাহ্ ভেংগে ফেলেছে এবং তার পাশের আশেরা-খুঁটিটা কেটে ফেলেছে।”
31. কিন্তু যে সব লোক তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল যোয়াশ তাদের বললেন, “তোমরা কি বাল-দেবতার পক্ষে ওকালতি করতে এসেছ? তাকে রক্ষা করবার চেষ্টা করছ? যে তার পক্ষ নেবে তাকে কাল সকাল হবার আগেই মেরে ফেলা হবে। বাল যদি সত্যিই কোন দেবতা হয়ে থাকে তবে সে নিজের পক্ষে ওকালতি করুক, কারণ তারই কোরবানগাহ্ ভেংগে ফেলা হয়েছে।”
32. সেই দিন তিনি গিদিয়োনের নাম দিলেন যিরুব্বাল (যার মানে “বাল-দেবতা ওকালতি করুক”)। গিদিয়োন বাল-দেবতার কোরবানগাহ্ ভেংগে ফেলেছেন বলে যোয়াশ বললেন, “গিদিয়োনের বিরুদ্ধে বাল-দেবতাই তার নিজের পক্ষে ওকালতি করুক।”
33. পরে মাদিয়ানীয়, আমালেকীয় এবং পূর্ব দেশের সৈন্য-সামন্ত সব এক হয়ে জর্ডান নদী পেরিয়ে যিষ্রিয়েল-উপত্যকায় গিয়ে ছাউনি ফেলল।
34. তখন মাবুদের রূহ্ গিদিয়োনকে শক্তিশালী করলেন। গিদিয়োন শিংগা বাজালেন আর অবীয়েষ্রীয়রা তাঁর পিছনে জমায়েত হল।
35. তিনি মানশা-গোষ্ঠীর এলাকার লোকদের কাছে খবর পাঠালেন আর তারাও তাঁর পিছনে জমায়েত হল। আশের, সবূলূন ও নপ্তালি-গোষ্ঠীর কাছেও তিনি খবর পাঠালেন আর তাতে তারা তাদের সংগে যোগ দেবার জন্য এগিয়ে আসল।
36-37. তখন গিদিয়োন আল্লাহ্কে বললেন, “দেখুন, আমি খামারে ভেড়ার লোম রাখছি। আপনার ওয়াদা অনুসারে যদি আপনি আমার হাত দিয়েই বনি-ইসরাইলদের উদ্ধার করবেন বলে ঠিক করে থাকেন তবে যেন কেবল সেই লোমের উপরেই শিশির পড়ে আর বাকী সব জায়গা শুকনা থাকে। তাহলে আমি বুঝব যে, আপনি যেমন বলেছেন তেমনি করে আমার হাত দিয়েই আপনি বনি-ইসরাইলদের উদ্ধার করবেন।”
38. আর তা-ই ঘটল; পরের দিন গিদিয়োন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই ভেড়ার লোম নিংড়ে শিশির বের করে ফেললেন। তাতে এক বাটি পানি হল।