13. অম্মোনীয় ও আমালেকীয়দের সংগে নিয়ে ইগ্লোন বনি-ইসরাইলদের হামলা করলেন এবং জেরিকো অধিকার করে নিলেন।
14. বনি-ইসরাইলরা আঠারো বছর মোয়াবের বাদশাহ্ ইগ্লোনের অধীনে রইল।
15. এর পর বনি-ইসরাইলরা আবার মাবুদের কাছে ফরিয়াদ জানাতে লাগল, আর তিনি তাদের জন্য এহূদ নামে একজন উদ্ধারকর্তা দাঁড় করালেন। তিনি ছিলেন বিন্যামীন-গোষ্ঠীর গেরার ছেলে। তিনি বাঁ হাতে কাজ করতেন। মোয়াবের বাদশাহ্ ইগ্লোনকে খাজনা দেবার জন্য বনি-ইসরাইলরা তাঁকে পাঠিয়ে দিল।
16. তিনি এক হাত লম্বা দু’দিকে ধার দেওয়া একটা ছোরা বানিয়ে তাঁর কাপড়ের নীচে ডান রানের সংগে বেঁধে নিলেন।
17. তিনি গিয়ে মোয়াবের বাদশাহ্ ইগ্লোনকে সেই খাজনা দিলেন। বাদশাহ্ ইগ্লোন ছিলেন খুব মোটা।
18. খাজনা দেবার পর যারা খাজনা বয়ে এনেছিল এহূদ তাদের বিদায় করে দিলেন,
19. কিন্তু তিনি নিজে গিল্গলের কাছের খোদাই করা পাথরগুলো পর্যন্ত গিয়ে ফিরে এসে বললেন, “মহারাজ, আপনাকে আমার একটা গোপন খবর দেবার আছে।”বাদশাহ্ তাঁর লোকদের বললেন, “তোমরা চুপ কর”; এতে তাঁর লোকেরা তাঁর কাছ থেকে চলে গেল।
20. তখন বাদশাহ্ তাঁর ছাদের ঠাণ্ডা-ঘরে একা বসে ছিলেন, আর এহূদ তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “আপনাকে আমার একটা খবর দেবার আছে; খবরটা আল্লাহ্র কাছ থেকে এসেছে।” এই কথা শুনে বাদশাহ্ উঠে দাঁড়ালেন,
21. আর এহূদ বাঁ হাত দিয়ে তাঁর ডান দিকের রান থেকে ছোরাটা টেনে বের করে নিয়ে বাদশাহ্র পেটে সেটা ঢুকিয়ে দিলেন।
22. বাঁট সুদ্ধ ছোরাটা পেটে ঢুকে গিয়ে চর্বিতে ঢাকা পড়ে গেল, কারণ এহূদ ছোরাটা টেনে বের করে নেন নি। ছোরাটা পিছন দিকে খানিকটা বের হয়ে ছিল।