2-3. এই কথা বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকদের কানে গেল। আল্লাহ্র যে বান্দারা জমায়েত হয়েছিল সেই দলের মধ্যে ছিল ইসরাইলীয় গোষ্ঠী-নেতারা সবাই এবং চার লক্ষ পদাতিক সৈন্য। তারা জানতে চাইল যে, সেই জঘন্য ব্যাপারটা কি করে ঘটেছিল।
11. কাজেই বনি-ইসরাইলদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকেরা সবাই একসংগে জমায়েত হয়ে গিবিয়ার বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়াল।
12. তারা বিন্ইয়ামীন এলাকার সব জায়গায় লোক দিয়ে জিজ্ঞাসা করে পাঠাল, “তোমাদের মধ্যে এ কি জঘন্য কাজ করা হয়েছে?
13. গিবিয়ার ঐ সব দুষ্ট লোকদের তোমরা আমাদের হাতে তুলে দাও যাতে আমরা তাদের মেরে ফেলে বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে এই জঘন্যতা দূর করে দিতে পারি।”কিন্তু বিন্ইয়ামীনীয়রা তাদের ইসরাইলীয় ভাইদের কথায় কান দিল না।
14. তারা ঐ সব বনি-ইসরাইলদের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য তাদের শহর ও গ্রামগুলো থেকে বের হয়ে গিবিয়াতে গিয়ে জমায়েত হল।
15. সেই দিনই তারা তাদের শহর ও গ্রামগুলো থেকে ছাব্বিশ হাজার সৈন্য জমায়েত করল। এছাড়া তাদের সংগে ছিল গিবিয়ার সাতশো বাছাই করা সৈন্য।
16. সমস্ত সৈন্যদের মধ্যে সাতশো বাঁহাতি দক্ষ লোক ছিল যারা চুল লক্ষ্য করে ফিংগা দিয়ে ঠিক চুলটির উপরেই পাথর মারতে পারত।
17. বাকী ইসরাইলীয় সৈন্যদের সংখ্যা ছিল চার লক্ষ। তারা সকলেই ছিল যুদ্ধে পাকা।
18. তারা বেথেলে গিয়ে আল্লাহ্র কাছ থেকে জানতে চাইল বিন্ইয়ামীনীয়দের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য তাদের মধ্যে কে আগে যাবে। জবাবে মাবুদ জানালেন যে, এহুদা-গোষ্ঠী আগে যাবে।
19. পরের দিন সকালে উঠে বনি-ইসরাইলরা গিবিয়ার কাছে ছাউনি ফেলল।
20. তারপর তারা বিন্ইয়ামীনীয়দের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য বের হয়ে সেখানে তাদের বিরুদ্ধে সৈন্য সাজাল।
21. বিন্ইয়ামীনীয়রা গিবিয়া থেকে বের হয়ে আসল এবং সেই দিন বাইশ হাজার ইসরাইলীয়কে হত্যা করল।